ঘুষ গ্রহণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনা সামগ্রী বিক্রি করা দুটি কোম্পানি থেকে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী জুলিয়ারি বাটুবাড়ার বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গেল দুই সপ্তাহের কম ব্যবধানে দ্বিতীয় মন্ত্রী হিসেবে বাটু্বাড়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসল। এর আগে দেশটির মৎস্য মন্ত্রী ইদি প্রাবুউ চিংড়ি রফতানিকে কেন্দ্র করে ঘুষ নেয়ার অপরাধে বহিষ্কৃত হন। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে জানা গেছে, করোনাকালে সামাজিক সাহায্যে হিসেবে ৪২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যর পণ্যসামগ্রী বিতরণ করবে ইন্দোনেশিয়া সরকার। সেই প্রকল্পে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে বাটুবাড়াসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন। সংবাদ সম্মেলনের পরের দিন রবিবার সকালেই জাকার্তার দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন বাটুবাড়া।
বাটুবাড়া ক্ষমতাসীন ইন্দোনেশিয়ান ডেমোক্রেট পার্টি অব স্টাগলে সদস্য। এই ঘটনায় তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ফিরলি বাহুরি বলেন, আমরা সন্দেহ করছি যে, দুটি কোম্পানি থেকে প্রায় দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছেন মন্ত্রী বাটুবাড়া।
তিনি বলেন, যদি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে টাকা ছুরির দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বাহুরি আরো বলেন, আমরা শুধু এখানেই থেমে থাকব না। করোনাকালে সরকারের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী আমরা খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি যাতে কোন অনিয়ম না হয়। ক্ষমতাসীন দলের দুই মন্ত্রী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় দেশটির রাষ্ট্রপতি জোকও উইদোদোর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করবেন বলে শপথ করেছিলেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে ২০১৯ সালে ১৮০ টি দেশের মধ্যে দুর্নীতিতে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান ছিল ৮০তম।