ডিসেম্বরেই প্রথম ভ্যাকসিন পেতে পারেন আমেরিকানরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনা মহামারির কারণে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিনই একমাত্র ভরসা। আর সে কারণেই যত দ্রুত সম্ভব মানুষের হাতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের প্রধান ডা. মোনসেফ স্লাউয়ি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম ধাপে আমেরিকানরা ভ্যাকসিন পেতে পারেন।
তিনি জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার চেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর গতি বাড়ার মধ্যেই দেশটিতে ভ্যাকসিন নিয়ে এমন ঘোষণা এলো।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে মারা গেছে ২ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ। বিশ্বে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, গত শুক্রবার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে মার্কিন ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক। এর আগে যৌথভাবে তৈরি করোনার এই ভ্যাকসিন ‘৯৫ শতাংশ কার্যকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। চলতি বছরের শেষ দিকেই ৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির আশা প্রকাশ করেছে ফাইজার।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনা করতে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) ভ্যাকসিন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি একটি বৈঠকে বসার কথা। সেখানে আলোচনার পর এফডিএ যদি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত ফাইজার ও বায়োএনটেক।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের জনগণ এই ভ্যাকসিন পাবেন। ডা. সাউয়ি জানিয়েছেন, কোন অঙ্গরাজ্যে কারা আগে ভ্যাকসিন পাবেন সে বিষয়টি ওই অঙ্গরাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করবেন। তবে এখন পর্যন্ত যারা করোনার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন যেমন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্ক লোকজনরাই এই ভ্যাকসিন আগে পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্নাও জানিয়েছে যে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। আগামী কয়েক সপ্তাহর মধ্যেই ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।