বিশ্বকাপে যে কারণে আফগানদের ভরাডুবি
স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ মানেই চাপ, উত্তেজনা। সেরাদের লড়াইয়ে নিজেদের মেলে ধরা। তবে অনেক দলই প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। আফগানিস্তান এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার প্রত্যাশা নিয়ে আসলেও সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছে তাদের। একটা ম্যাচও জিততে পারেনি তারা।
রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের হাত ধরে বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য কিছু করবে আফগানরা, এমনটাই আশা করেছিলেন তাদের সমর্থকরা। কিন্তু টানা হারের পর সেই আশা রূপান্তরিত হয়েছে হতাশায়।
বিশ্বকাপের আগে হুট করেই দলের নিয়মিত অধিনায়ক আসগর আফগানকে সরিয়ে গুলবাদিন নাইবকে নতুন অধিনায়ক করা হয়। এ নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। তার উপর ইনজুরির কারণে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদের ছিটকে যাওয়া নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়।
যদিও আফগানদের দুরবস্থার জন্য প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকেই দায়ী করেছেন প্রধান নির্বাচক দাওলাত আহমেদজাই। এমনই এক খবর প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে টুইট করেন আফগানিস্তানের একজন সাংবাদিক। ওই টুইটের রিটুইট করে সিমন্স জানান বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর প্রধান নির্বাচকের সব কর্মকান্ড খোলাসা করবেন তিনি। বোর্ড ও কোচের মধ্যকার ঝামেলা এই ঘটনায় সুস্পষ্ট। যা আফগানদের মাঠের পারফর্ম্যান্সেও প্রভাব ফেলেছে।
আসগরকে শুধু অধিনায়ত্ব থেকে সরিয়ে দেয়াই নয়। বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয় তাকে। শুধু কী তাই? ইনজুরির অজুহাত দিয়ে দুই ম্যাচ খেলানোর পর বসিয়ে রাখা হয়েছে আফগানিস্তানের সেরা ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদকে। আর এসবে প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক দাওলাত আহমেদজাইয়ের। অথচ দলের ব্যর্থতার কারণে দোষ চাপানো হচ্ছে প্রধান কোচ সিমন্সের ওপর।
তবে এখানেই শেষ নয়। দলের তারকা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সও প্রভাব ফেলেছে দলগত পারফর্ম্যান্সে। দলের সেরা তারকারা ব্যর্থ হয়েছেন। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে দলের সামগ্রিক ফলাফলে।
রশিদ খানকে নিয়ে আফগানরা তো বটেই, ক্রিকেটপ্রেমীরাও প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বিশ্বকাপের মঞ্চে রশিদ ছিলেন একদমই ফ্লপ।
নয় ম্যাচে ৭১ ওভার বল করেন আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার। রান দিয়েছেন ৪১৬, উইকেট নিয়েছেন মাত্র ছয়টি।
যদিও রশিদ একা নন। পুরো আফগান টিমই দায়ী দলের ভরাডুবির জন্য। বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানদের নিয়ে কেউই খুব বড় কিছু আশা করেননি, কিন্তু সবগুলো ম্যাচে পরাজয়ও কাম্য ছিল না তাদের।