আটটি এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক:
ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দেশে তিন হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আটটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী মাস থেকে এই নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ঘোড়াশাল ইউনিট-৪ পুনর্নির্মাণ, ১০০ মেগাওয়াট শাহজিবাজার, ৩৮৩ মেগাওয়াট বিবিয়ানা দক্ষিণ, ২০৬ মেগাওয়াট ঘোড়াশাল ইউনিট-৩ পুনর্নির্মাণ কাজ আগামী মাস থেকে শুরু হবে।
আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগামী জুন মাসে উৎপাদনে যাবে এবং সময় অনুযায়ী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রূপসা ৮৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য মতে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ২০২২ সালের আগস্ট মাসে মেঘনাঘাট ৭১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে।
জানতে চাইলে পাওয়ার সেল প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বর্তমানে ৩ হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট ক্ষমতার আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ৮ হাজার ৫৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরো পাঁচটি এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০৩৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এগুলো বাস্তবায়ন হবে।
এদিকে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে জানান, বাস্তবসম্মত ও টেকসই পদক্ষেপের মাধ্যমে ১৮ হাজার ৬০৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে বর্তমান সরকার। বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার ৫৪৮ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে, এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছে সরকার।
মন্ত্রী আরো জানান, বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৭ কোটি এবং মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১২ কিলোওয়াট পৌঁছেছে, যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ২২০ কিলোওয়াট। ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মেগা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার এরই মধ্যে ক্যাপটিভ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে।