মিয়ানমারের নির্বাচনে আবারো জয়ের আশা সুচি’র
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবারের নির্বাচনে খুব সহজেই অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জয় লাভ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ২০১১ সালে প্রত্যক্ষ সেনা শাসন শেষ হওয়ার পরে দেশটিতে এবার দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগের নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন সু চি। পরে তিনি ক্ষমতা ভাগাভাগি করার চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবল ক্ষমতাশালী জেনারেলদের সঙ্গে।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে সোমবার সারাদিন লেগে যাবে। রোববার রাতের দিকে সু চির হাজার হাজার সমর্থক তার দলীয় সদর দফতরের সামনে জড়ো হয়ে পতাকা ওড়াতে ও স্লোগান দিতে থাকে।
রোহিঙ্গা গণহত্যার ব্যাপারে চোখ বন্ধ রাখার নীতি অনুসরণের কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি নিজ দেশে এখনো বিপুল জনপ্রিয়।
এবারো দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ভোটাধিকার বঞ্চিত রেখে দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্টের এ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হলো। বিশেষ করে রাখাইন, শান, কাচিনের মতো এলাকায়। যেখানে অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাস। নিরাপত্তার অজুহাতে এসব স্থানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়ে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিলেও এখনো বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার বসবাস রাখাইন রাজ্যের পশ্চিম অংশে।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারি সত্ত্বেও বিপুল ভোটার উপস্থিতি দেখা যায় ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা ভোটে।
সব মিলিয়ে ১ হাজার ১৭১ আসনের জন্য ৯২টি দলের ৬ হাজার ৯০০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সু চির এলএলডির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল হলো ইউনিয়ন সলিডারিটি ও ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য বয়স্কদের অগ্রিম ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো মিয়ানমারে। তখনই ভোট দিয়েছেন ৭৫ বছর বয়সী সু চি নিজেও।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করলেও দেশ শাসনে সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিক প্রভাব বজায় রেখেছে। পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত থাকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য।