সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ই-ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী ০৬ ও ০৭ নভেম্বর ২০২০ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ই-ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০ (E-World Marketing Summit 2020)। এবারের সামিট অন্যান্য বছরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও ব্যতিক্রমী। প্রতিটি ধাপে রয়েছে নতুনত্ব ও আকর্ষণ। বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ পরিস্থিতি বিচেনায় ‘ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০’ কে এবার ‘ইলেক্ট্রনিক ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে অনলাইনের মাধ্যমে। ভার্চুয়াল জগতের শতভাগ প্রয়োগ হবে এখানে, যা বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এবারের সামিটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও কটলার ইমপ্যাকট, ইনকরপোরেটেড।
ইতিহাসের পাতায় এই প্রথম এতো বড় ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে একই সময়ে, একই মঞ্চে ১০৪ দেশের সম্মানিত অতিথিরা যুক্ত থাকবেন। শুধু তাই নয়, যেখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ জনের বেশি অতিথি তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন, যারা কথা বলবেন মার্কেটিং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে, করবেন চুলচেরা বিশ্লেষণ।
এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য হলো, কোটি কোটি দর্শককে একত্রিত করা ও জ্ঞানের সাগরে অবগাহন করানো। প্রফেসর ফিলিপ কটলার ও তার বিশেষজ্ঞ দল, বিশ্বের মার্কেটিং বিশারদগণ, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট, বিপনন দুনিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিবর্গ, সফল উদ্যোক্তা, নিউরোমার্কেটার, সামাজিক উদ্যোক্তা, ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুরা বক্তব্য প্রদান করবেন। এই সামিটে আরো আকর্ষণীয় বিষয় হলো, একাধিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন, দেবেন তাদের মূল্যবান বক্তব্য।
যা যা থাকছে এই মার্কেটিং সামিটে: ০৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা থেকে শুরু হবে প্রোগ্রামটি। টানা দুইদিন চলবে এই অনুষ্ঠান তবে মাঝে মাঝে শর্ট ও লং ব্রেক থাকবে। জাপান, জার্মানি, ইতালি, কানাডা, অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, মালায়শিয়া, সিংগাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সৌদি আরব ও ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা আলোচনা রাখবেন।
আলোচনা ও বিশ্লেষণ: নিউ প্রোডাক্ট ডেভেলোপমেন্ট, বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল মার্কেটিং, বি টু বি (B2B) মার্কেটিং, বিক্রিতে অনিশ্চয়তা, সামাজিক উদ্যোক্তা, ই-কমার্স, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, সেবা মাকের্টিং, হাই টেক মার্কেটিং, ভ্যালু ক্রিয়েশন, অনলাইনে বিক্রয়, স্টার্টআপ ফান্ড রাইজিং, স্টার্টআপ মার্কেটিং এন্ড সেলিং, ম্যানেজমেন্ট অব টেকনোলজি, ইনোভেশন, সোস্যাল মার্কেটিং, কনসেপ্ট মার্কেটিং, কাস্টমার ডাটা ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক রিলেশন্স ও আচরণগত বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা রাখবেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ টি প্রতিষ্ঠান তন্মধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক ও ক্লাবসমুহ সেইসাথে দেশের সেরা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী ও কর্পোরেট অফিসের কর্তাব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছে এই সম্মেলনে। বাংলাদেশের আয়োজনে স্পনসর করেছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, নেসলে বাংলাদেশ, ব্যাংক এশিয়া, এসিআই, সিম্ফোনি ও সোনালী ব্যাংক।
সামিটে সবার জন্য থাকছে অংশগ্রহণ শেষে ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট অ্যালামনাই হবার ব্যবস্থা যা বিশ্বব্যাপী নিজের নেটওয়ার্ক তৈরির এক সুবর্ণ সুযোগ। আর শিক্ষক, গবেষক, কর্পোরেট ব্যক্তিত্বরা যারা উচ্চশিক্ষা, এমফিল বা পিএইডি করবেন তারা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল হায়ার স্টাডিজ (BIIHS) থেকে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পাবেন। এছাড়াও থাকছে অংশ গ্রহণকারীদের জন্য ফিলিপ ক্টলারের স্বাক্ষরযুক্ত ই-সার্টিফিকেট।
ডব্লিউএমএস এর বাংলাদেশ উপদেষ্টা ও চিফ পেট্রোন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, এই সামিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিচয় করিয়ে দেয়া পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের একত্রিত করার মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, ব্যবসার প্রসার, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নতি সাধন করা।
ডব্লিউএমএস এর বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা, নর্দান ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও আইবিএ এর সাবেক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের করপোরেট সেক্টরগুলো এই সামিটে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে অংশ গ্রহণ করেছে তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক।
বিশ্বব্যাপী এই সামিটের মূল থিম হলো বিপননের মাধ্যমে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়।’ ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট (ডব্লিউএমএস) হলো বিশ্বব্যাপী একটি স্বতন্ত্র সংগঠন, যার প্রধান কার্যালয় হলো কানাডার টরেনটোতে। ২০১১ সালে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক প্রফেসর ফিলিপ কটলারের হাতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।