কালিগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতির তদন্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূনীতির তদন্ত সম্পূর্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৩-নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার সময় যশোর জেলার সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহিন কালিগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে অভিযোগকারি স্বপ্না খানম সহ স্থানীয় গ্রামবাসিদের মৌখিক এবং লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন।

অভিযোগকারি স্বপ্না খানম জানান জানান, তিনি কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- এস,কে,সি, এমও পদে র্দীঘ ৯মাস কর্মরত ছিলাম। আমি যোগদান করার পরেই হাসপাতালের কোয়াটারে থাকার অনুমতি দেন ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমান। কিন্তু আমার নামে কোয়টারের কোন বরাদ্ধ দেয়নি। আমি যখন ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমানের কাছে আমার নিজের নামে কোয়াটার বরাদ্ধ চাই। তখন তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তার কাছে মাসিক ৪ হাজার টাকা দিলে আমার নামে কোয়াটার বরাদ্ধের প্রয়োজন হবে না বলে জানান তিনি। তার কথামত আমি প্রতি মাসে ৪হাজার টাকা করে দিতাম । কিন্তু সে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজে আতœসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে সরকারি টাকা কোষাগারে জমা না দেওযার প্রতিবাদ করলে ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমানের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয় আমার। এরপর তার স্বীয় ক্ষমতাবলে আমাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলী করেন। পরে খুলনা ডিজির আদেশে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হোসাইন সাফায়েত হোসেন আমাকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করেন। কিন্তু ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমান আমার ছাড়পত্র, নাদাবী পত্র, এলপিসি, আটকিয়ে রাখেন। বিষয়টি আমি সির্ভিল সার্জন মহোদয়কে অবহিত করিলে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আমার যাবতীয় কাগজ পত্র বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলে দেন।

এরপর গত ( ৫ মার্চ ২০২০) তারিখে ইসুৎ করেন। কিন্তু কালিগঞ্জ হিসাব রক্ষন অফিসে প্রেরণ করেন গত (৭ এপ্রিল ২০২০) তারিখে। যার কারণে আমার ২মাসের বেতন ও বোনাস ঈদের আগে তুলতে পারিনি। এসময় আমার মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে টাকার অভাবে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে পারিনি। আমি একজন সরকারি মহিলা কর্মচারী হয়েও বিগত ২মাসে যে অকর্থ ভাবে হয়রানি হয়েছি। তার প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক নির্দেশে যশোর জেলা সিভিল সার্জন তদন্তে আসেন এবং আমার কাছে হাসাপাতালের অনিয়র দূনীতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চান। এছাড়া স্থানীয় অনেক ভুক্তভোগী সিভিল সার্জনের নিকট হাসাপাতালের ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূনীতির চিত্র তুলে ধরেন।

অনিয়ম ও দূনীর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলার স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: শৈখ তৈয়েবুর রহমান মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

তদন্ত শেষে প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহিন সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে আমি কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তদন্তে এসেছি। স্থানীয় এলকাবাসি ও আমাদের স্বাস্থ্য কর্মী স্বপ্না খানমের মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ নিয়েছি। যে অধিদপ্তর থেকে আমাকে পাঠিয়েছে অভিযোগের লিখিত কপি আমি সেখানে প্রেরণ করবো। পরবর্তী ব্যবস্থা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য বিভাগ নিবেন বলে জানান তিনি।

এছাড়া তিনি আরও বলেন,মূলত অভিযোগ ছিল প্রশাসনিক ব্যবস্থা অনিয়নের বিষয়ে। এছাড়া একজন ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাননি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)