মেয়েদের বিয়ের বয়স না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মোদিকে চিঠি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত সেটি পুনর্বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দেশটিতে মেয়েদের আইনী বিবাহযোগ্য বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার বিরোধিতা জানিয়েছে ভারতীয় মুসলিম লিগের নারী শাখা। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখেছে তারা।
ওই চিঠিতে এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি সামাজিক ইস্যুতে ‘তাড়াহুড়া’ করে সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন নারী শাখার সম্পাদক পিকে নুরবানা রশিদ চিঠিতে লেখেন, ভারতে বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানো হলে ভারতে ‘লিভ ইন’ সম্পর্ক অথবা অবৈধ সম্পর্কের সংখ্যা বাড়বে। তিনি বলেন, যেখানে জৈব ও সামাজিক কারণে অনেক উন্নয়নশীল দেশ বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ তে আনছে সেখানে ভারতের এই বিষয়ে হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।
তিনি আরো বলেন, ২০০৬ সালের বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করার পরিবর্তে মেয়েদের বিবাহযোগ্য বয়স বাড়ানোর প্রচেষ্টা অন্যায্য।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গ্রামীণ এলাকায় ৩০ শতাংশ মেয়েদের বিয়ে ১৮ বছর হওয়ার আগেই হয়ে যায়। যে আইন বিদ্যমান রয়েছে সেটিকে কার্যকরভাবে প্রয়োগ না করে এ ধরণের নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার কি দরকার বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। গত বছর কেরালা রাজ্যে প্রায় ৩ শতাধিক বাল্যবিবাহের কথাও বলা হয় ওই চিঠিতে।
নুরবানা রশিদ বলেন, মোদি সরকাররের যেকোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে যথাযথ আলোচনার দরকার রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত মুসলিম লিগ এই বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক কোনো অবস্থান গ্রহণ করেনি। তবে এই লিগের নারী শাখার অবস্থান স্বাধীন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানো নিয়ে বিবেচনা করতে জয়া জেটলির নেতৃত্বে একটি ১০ সদস্যের দল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার পরে সম্প্রতি দলটি বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব দেয়।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস