কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি

নিউজ ডেস্ক:

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাবেক সরকারি কর্মচারি আ. রহমান আমিন হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবদুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কাশেম, নজরুল, লিটন ও সাত্তার। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন, খোকন, সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, কান্তু মিয়া ও সাহেদ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক তদারক সহকারী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কালোপানি বজরা গ্রামের আ. রহমান আমিন চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউপির শিংগুয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। শিংগুয়া গ্রামের আ. কাদিরের ছেলে কাশেম, সিরাজ ও নজরুলের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।

২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল ভোরে আসামিরা আ. রহমানের বসতঘরে হামলা করেন। তারা তাকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। হামলায় আহত হন নিহতের স্ত্রী মোছা. নূরুন্নাহার। এ সময় ঘরের টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যান হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের স্ত্রী নূরুন্নাহার ওরফে রাবেয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। আদালতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক বলেন, এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট। এতে করে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

অপরদিকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)