যে কারণে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয় দেলোয়ার বাহিনী

স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কারণগুলো একে একে সামনে আসছে।

অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

মামলার এজাহারের ওই নারী আরো অভিযোগ করেছেন, তার স্বামীকে বেঁধে রেখে আসামিরা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তারা এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণা করেন। গত এক মাস ধরে তারা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে অনৈতিক প্রস্তাবও দিচ্ছিলেন। তিনি এই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা ফেসবুকে ভিডিওটি ছেড়ে দেন।

সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকের এই ঘটনায় ওই নারী রোববার বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। দুই মামলাতেই নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ওই নারীর ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় কয়েক বছর আগে তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন। তার এক ছেলে ও মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে ওই নারী ছেলে ও এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি স্বামী তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে শুরু করলে এ নিয়ে কয়েকজন যুবক আপত্তি জানিয়ে সেদিন ওই নারীকে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন। নির্যাতনকারীরা তার স্বামীকেও আটক করে নিয়ে যায়। পরে ওই নারীর ভাই এক হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

এদিকে এ ঘটনার প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সোমবার সকালে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে রোববার বিকেলে আবদুর রহিম ও রাতে রহমত উল্লাহ নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)