তালায় আলোচিত নির্যাতিত নারী ছোনিয়ার পুত্র সন্তানের জম্মলাভ
জহর হাসান সাগর ,তালা :
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা ১২ নং খলিলনগর ইউনিয়নে হাজরাকাটী গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র কুমারী নারীর গর্ভের সন্তান নষ্টকরতে প্রতারক স্বামীর নানা কুট কৌশল। সমাজ পতিদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে কন্যার পিতার আত্মহত্যা করেন। অবশেষে প্রতারক স্বামী পুলিশের খাচায় বন্ধি। পুত্র সন্তানের জম্মলাভ নেপথ্য কাহিনী।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোনিয়া খাতুন জানায়, তালার হাজরাকাটি গ্রামের আবু সাঈদ গাজীর কন্যা সোনিয়া খাতুন( ১৯) এর সাথে একই এলাকার নাজমুল গাজীর সাথে প্রেমের সুত্রধরে বিবাহ হয়।
স্বামী নাজমুল গাজী সোনিয়াকে বিবাহের কিছুদিন পর তালাক দিয়ে অন্যন্ত্র বিবাহ করে। বিবাহিত ন্ত্রী ও পরিবারের সকলের অগচরে তালাক দেওয়া স্ত্রী কে পুনরায় বিবাহ করে। এক পর্যায়ে সোনিয়া গর্ববতী হলে লোকচক্ষুর অন্তরালের ঘটনাটি সামনে আসে। এসময় নাজমুল পুরাঘটনা অস্বীকার করে রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকরে। এমনি ভাবে এক লক্ষবিশ হাজার টাকা চুক্তিহয় পুরা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। পেটের বাচ্চা সন্তান নষ্ট করতে বিশ হাজার টাকা। ক্ষতিপুরন একলক্ষ টাকা। কিন্তুু পেটের সন্তান নষ্টকরতে রাজী হয়নি এই হতভাগ্য নারী। পেটেরবাচ্চা অস্বীকার করায় এলাকার সমাজ পতিদের দারস্হ হলেও ন্যায়বিচার পায়নি অসহায় পরিবার টি। সেকারনে একপর্যায়ে হতভাগ্য নারীর পিতা আবু সাঈদগাজী ক্ষোভে দুঃখে একমাস পূর্বে আত্মহত্যা করে।
তালাথানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান,তালা – পাটকেলঘাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির এবং তিনি নিজে আবু সাঈদগাজীর আত্মহত্যার কারন অনুসন্ধান কালে উল্লেখিত ঘটনা অবগত হয়েই তালা থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন আইনে সোনিয়া খাতুন কে বাদী করে মামলা রেকর্ড করে আইনের সহায়তা নিশ্চিত করেন। এবং তালা থানা পুলিশ আসামী লম্পট নাজমুল গাজীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।
প্রাইভেট চালক দিপঙ্কর দাস জানায়, হতদরিদ্র অসহায় মহিলার জীবন বাঁচাতে তার প্রাইভেট গাড়িতে করে শনিবার গভীররাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করার জন্য তালা সদরের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস,এম, নজরুল ইসলাম তত্বাবধানে রওনাহলে পতিমধ্যে রাস্তায় গাড়ির মধ্যে একটি পুত্র সন্তান জম্মগ্রহন করে রাত অনুমানিক একটার দিকে। তাকে সদর হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সন্তানের নাম রাখা হয়েছে মুহাম্মদ হা- মিম- এলাহী গাজী।
নারী অধিকার বাস্তবায়ন কারীরা চুপ কেন ?প্রশ্ন জনগনের।
Please follow and like us: