ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা
নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার সকালে তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী।
অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে গণধর্ষণের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে শুক্রবার রাতে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। অভিযুক্তরা ওই তরুণীকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তুলে হোস্টেলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরপর র্যাব-৯ সিলেটের এএসপি সামিউল আলম, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. সোহেল রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এরপর রাত ২টার দিকে এমসি কলেজ হোস্টেলে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুর রহমানের রুমে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার রুম থেকে ১টি পাইপগান, ৪টি রামদা, ১টি চাকুসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন ওই দম্পতি। বেড়ানোর একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এ সময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারপিট শুরু করেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে অভিযুক্তরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি প্রাইভেটকার ছিনিয়ে নেন তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দম্পতিকে উদ্ধার করে ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠায়। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি তাদের জিম্মায় নেয়।