সাতক্ষীরায় মৎস্যজীবী লুৎফর নিকারীকে হত্যার পর উল্টো ডাকাতি মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার তালায় সন্ত্রাসী সরদার মশিয়ার রহমান কর্তৃক জেয়ালানলতার মৎস্যজীবী লুৎফর নিকারীকে হত্যার পর উল্টো ডাকাতি মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে গ্রামবাসী। রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

জেয়ালানলতা গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত লুৎফর নিকারীর ভাই ইন্নাত নিকারী, নিহতের ছেলে ও হামলার স্বীকার সেলিম নিকারী, গ্রামবাসীর পক্ষে মুসা নিকারী, জিয়া নিকারীসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লুৎফর নিকারীকে হত্যা করে হত্যা মামলার বাদী নিহতের ছেলে সেলিম নিকারী, মামলার স্বাক্ষীসহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দিয়েছে খুনী ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ারের বড় ভাই গোলজার সরদার। এই সন্ত্রাসীদের তান্ডবে তালার মানুষ আজ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাঁটিয়ে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা হত্যা মামলার সুষ্ঠ বিচার চাই মশিয়ারসহ বাকি জড়িতদের ফাঁসি চাই। মিথ্যে ডাকাতি মামলা প্রত্যাহার করা চাই। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী সরদার মশিয়ারকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার চাই। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ আগষ্ট রাতে তালার নলবুনিয়া বিলে সরকারি খালে মাছ ধরার সময় সরদার মশিয়ারের মাছের ঘেরে মাছ চুরির অভিযোগ তুলে সেলিম নিকারীকে মারপিট করে সরদার মশিয়ার, তুহিন শেখ ও রনি বিশ্বাস। সংবাদ পেয়ে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে লুৎফর নিকারীর বুকে লাথি মারেন সরদার মশিয়ার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে উপজেলা জুড়ে তান্ডব সৃষ্টি ও হত্যায় জড়িত থাকায় তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক পদ থেকে সরদার মশিয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর ২৩ আগষ্ট সরদার মশিয়ার রহমানের বড় ভাই গোলজার সরদার বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আদালতে নিহতের ছেলে হত্যা মামলার বাদী, স্বাক্ষী ও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তালা থানার ওসিকে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেন বিচারক।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)