রিং বাঁধ নির্মানে বৃহত্তর জনগোষ্টিকে রক্ষা করা হবে:সাতক্ষীরার বন্যা দূর্গত এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার
আসাদুজ্জামান :
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার নদী পথে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ সময় প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হরিশখালী ও চাকলা এবং শ্রীউলার হাজরাখালী বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন।
বিভাগীয় কমিশনার এ সময় বলেন, সেনাবাহিনীর টেঁকসই বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে অনুকুল পরিবেশ প্রয়োজন। এ জন্য নভেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এভাবে তো প্লাবিতদের রেখে দেওয়া যাবেনা। তাই দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি কমাতে এখনই বিকল্প রিং বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্টিকে রক্ষা করা হবে। দু’ একের মধ্যে এ কাজ শুরু করা হবে। কেবল বাঁধ নির্মান নয়, সাথে সাথে কৃষি, মৎস্য’র ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার প্রনোদনার ব্যবস্থা করছে। ঘরবাড়ি নির্মানে সহায়তার বিষয়টিও সরকার ভাবছে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাবার, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।বিভাগীয় কমিশনার এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করেন। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবীর প্রমুখ।
এদিকে, ভাঙন কবলিত উপকুলীয় এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও বানভাসিদের দুর্ভোগ কমছেনা। দীর্ঘদিন ধরে পানি বন্দী থাকায় বানভাসী মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রধান প্রধান সড়ক গুলো। পানি বন্দী খেটে খাওয়া মানুষ গুলো জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে দুর্গত এলাকা ছেড়ে অনেকেই শহরের দিকে ছুটছেন।