আনুলিয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বার্থান্ধ ও অপরাধচক্রের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় ব্যক্তি স্বার্থ হাছিলে অন্ধভাবে জুলুমবাজে ব্যর্থ এবং নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বারাবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) সকালে ইউনিয়নের গোরালী বাজার সড়কে এ কর্মূসূচির আয়োজন করা হয়।
ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ, জন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ গ্রহনে দীর্ঘ মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মেম্বার শওকত হোসেন, ইউনিয়ন আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমত তোহা লিংকন, প্রধান শিক্ষক সুকুমার বিশ্বাস, সাবেক মেম্বার রুহুল আমিন, আবজালুর রহমান প্রমুখ। বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান লিটন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নকে একটি আদর্শ ইউনিয়নে পরিণত করেছেন। ইউনিয়নের সকল সড়ক, প্রতিষ্ঠান, বাজার, মসজদি, মন্দির, কবর-শ্মশানের উন্নয়ন করেছেন। এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যেখনে তিনি উন্নয়ন করেননি। টিআর প্রকল্পের আওতায় শহীদ মিনার, গেইট, সৌর বিদ্যুৎ দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করেছেন। ৭৭টি প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। এমন কোন মসজিদ পাওয়া মুসকিল যেখানে লাখ টাকার কম সহায়তা করেছেন। তার কর্মকান্ডে ইউনিয়নবাসী যখন জয়জয়াকারে প্রমোদিত, তখন ব্যক্তিস্বার্থে অন্ধ ও অপরাধী চক্র ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মেম্বার শাহাবুদ্দিন তার চাচাত ভাই কালামের রাস্তার পাশের জমি অবৈধ দখল নিয়ে ক্লিনিক করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘেরাবেড়া দিতে শুরু করেন। তখন জমির মালিক কালামের পাশে থেকে ইউনিয়ন পরিষদ তার জমি উদ্ধারে তার পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়। এতে ক্ষিপ্তি হয়ে শাহাবুদ্দিন নাশকতা মামলার আসামী অপর মেম্বার ইনামুল, ইউনিয়ন কৃষকদল সভাপতি আমান হত্যা মামলার আসামী মোক্তার, ফারুক, অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত মহিলা মেম্বার খুকুমনি একজোট হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার শুরু করেছেন। চেয়ারম্যানের সততার কারনে কর্মসৃজন কর্মসূচির ৯০ জন গরহাজির থাকায় টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়েছে, তিনি বহু জমির মালিক, তিনি জমির বৈধ আয় এবং স্ত্রীর বেতনের টাকা দিয়েই পারিবারিক কাজকাম ও ঘরবাড়ি নির্মান করেন। সেটিকেও তারা মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে অপরাধ খুজে বেড়াচ্ছেন। মেম্বারদের মাধ্যমে তিনি সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। তাই ৯ জন মেম্বার তার কাজের সহযোগি হিসাবে ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাতে ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন থেকে অন্যায়-অপকর্ম, মাদক, জুয়াসহ সকল অপরাধ প্রবণতা এখন তিরোহিত হয়েছে বললেও অত্যুক্তি হবেনা। তিনি সকল ত্রাণ সামগ্রী ও সরকারি সহায়তা প্রকাশ্যে বিতরণ করেছেন এবং তা ফেসবুকে দিয়ে স্বচ্ছতা প্রমাণিত করেছেন। তারপরও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রবণতা লজ্জাজনক। তাইতো আজকের ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম ফারুকুজ্জামান তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে ৯০ ভোট পেয়েছিলেন। বংশ পরম্পরায় আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত পরিবারের সদস্য চেয়ারম্যান লিটনের বিরুদ্ধে তারা ডিসি, ইউএনও, এসপি, ডিআইজ বরাবর একের পর এক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করেছেন। এপর্যন্ত ৫টি তদন্ত শেষ হয়েছে, কোনটিই সত্য প্রমানিত হয়নি। তখন একই অভিযোগ আদালতে করলে দুদকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ফেস করতে চেয়ারম্যান সদা প্রস্তুত। কিন্তু অভিযোগ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে দোষি সাব্যস্ত করা, তার বিরুদ্ধে প্রচারপত্র, সংবাদ পত্রে অভিযোগ সত্য প্রমানিত এমনভাবে লেখনি এবং বিশেষ ভাবে জনগণকে প্রভাবিত করতে ছলনার আশ্রয় জনগণ মেনে নিতে পারেনা। তার কোন অবৈধ সম্পদ থাকলে প্রমান করুন, সরকার তা নিয়ে নেবে, এতে তার কোন দুঃখ থাকবেনা। কিন্তু অপপ্রচার করলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, অঙ্গসগযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা আইনমেনে জবাব দিতে কার্পণ্য করবেনা। এব্যাপারে প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে, ইউনিয়নের ১৯০০০ ভোটারের ৯০% ভোটার তার পক্ষে একযোগে কাজ করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে একটি র্যালী বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বার্থান্ধ, বিএনপি জামাতের ছত্রছায়ায় অপরাধ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান হয়।