আশাশুনি সমবায় অফিসের জরাজীর্ণ সিলিং ভেঙ্গে পড়েছে ;অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা এক কর্মকর্তার
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের মধ্যে অবস্থিত সমবায় অফিসের জরাজীর্ণ সিলিং ভেঙ্গে পড়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন এক কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পরিষদের দু’টি সেমি পাকা বিল্ডিং দীর্ঘদিন যাবৎ শোচনীয় হয়ে পড়েছে। একটি বিল্ডিংয়ে মৎস্য অফিস, সমবায় অফিস ও পরিসংখ্যাণ অফিস চলছে। এ বিল্ডিংটি থানাকে উপজেলা পরিষদ ঘোষণার প্রথমেই নির্মীত। এখানে সে সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়ত হিসাবে ব্যবহার করা হতো। উপজেলা পরিষদকে মডেল ঘোষণার পর পরিষদে দ্বিতল ভবন নির্মীত হলে সেখানে অনেক অফিস ও মিলনায়তন শিপট করা হয়। সেই থেকে পুরনো মিলনায়তনটিকে চাচের (বাঁশের চটা/চেচাড়ি দিয়ে) নির্মীত পাটিশানের মাধ্যমে ৬টি কক্ষ করে সেখানে কয়েকজন কর্মকর্তার কার্যালয় ও কর্মচারীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর দ্বিতল ভবন আবারও পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মান করা হলেও সেই পুরনো আদলের সেমি পাকা টিন সেডের মিলনায়তনটি অপসারণ করা হয়নি। সেখানে অন্ধকার ও পর্যাপ্ত জানালা ছাড়া সংকীর্ণ কক্ষে এখনো মৎস্য, সমবায় ও পরিসংখ্যান অফিস চলছে। অফিস সংশ্লিষ্টরা অতি কষ্টে এখানে অফিস করে আসছেন। প্রাণের ভয়কে তুয়াক্কা না করে অনেকটা বাধ্য হয়ে এখানে অফিস করে যাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩ টার দিকে কর্মকর্তার কক্ষে যখন একজন (পরিদর্শক সন্যাসী চরণ) অফিসের এক কোণে বসে কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎ করে কক্ষের সিলিং সম্পূর্ণ একসাথে ভেঙ্গে পড়ে। তিনি দ্রুত টেবিলের পাশে মাথা টেনে নেওয়ায় আল্লাহর রহমতে প্রাণে রক্ষা পান। তাছাড়া কর্মকর্তাসহ অন্য কেউ সেখানে না থাকায় তারাও প্রভুর দয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। সাথে সাথে পাশের অফিস কক্ষের কর্মচারীরা ভীত হয়ে ছুটে কক্ষ থেকে বেরিয়ে পড়েন। অন্য অফিসগুলোর সিলিং কিংবা টিনের চাল কখন ভেঙ্গে পড়ে এনিয়ে চিন্তার অন্তনেই সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিনে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসটিও সেমি পাকা টিনসেডের ঘরে চলছে। বর্তমান যুগে উপজেলা গেটের মুখে ভবনটি বেজায় বেমানান হয়ে রয়েছে। অফিস ঘরটিও ঝুঁকিতে আছে। সেমি পাকা অফিস ঘরগুলো দ্রুত অপসারণ করা প্রয়োজন।