আশাশুনির বেতনা নদীতে নেট জাল দিয়ে রেণু পোনা নিধন
আশাশুনি উপজেলার বেতনা নদীতে অবৈধ নেটজাল পেতে রেণু পোনা নিধনের ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে এলাকার নদী থেকে রেণু পোনার সাথে বিভিন্ন মাছের রেণু নিধনের প্রেক্ষিতে নদীগুলো মাছ শূন্য হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
উপজেলার বেতনা নদীর কয়েক কিলোমিটার তীর জুড়ে বিভিন্ন স্থানে নদীর ভাটা শুরু হলে রেনু সংগ্রহ করার দৃশ্য দেখা যায়। কিশোর-যুব-বয়স্করা এসময় উৎসবে মাতে নদীর চরে মাছ ধরার কাজে। নদীর তীর জুড়ে স্রোতের বিপরীতে ছোট ছোট এলাকা নিয়ে খুঁটি পুঁতে রাখা হয়। জোয়ারের সময় উজানে বাগদা চিংড়ীর পোনা ও রেণু উঠে আসে। জোয়ারের টানে উঠে আসা পোনা নদীর তীর ঘেষে নীচের দিকে নামার চেষ্টাকালে নদীতে পুঁতে রাখা পানির এক ফুট নিচে খুঁটির সাথে অবৈধ নেট ও পাটায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রেণু পোনা আটকে যায়। আটকে যাওয়া এসব (মাছের বাচ্চা) রেণুর সাথে দেশীয় মাছের পোনা ও ছোট কাঁকড়াও উঠে আসে। নদী থেকে নেট উপরে (ডাঙ্গায়) তুলে আনার পর রেণুগুলো বাছাই করে নেয়া হয়। এসময় জালে আটকে থাকা ছোট ছোট মাছ ও কাঁকড়া মরে যায় বা ফেলে দিয়ে নিধন করা হয়।
এতে করে নদীতে দেশীয় মাছ ও কাঁকড়া দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বা উধাও হয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে নদীতে রেনু ধারার নামে সকল প্রকার মাছের নিধন কাজের কারনে এলাকার নদীতে এখন ১২ মাস আর মাছের সন্ধান মেলেনা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এসব অবৈধ রেণু নিধন বন্ধে কয়েকবার মোবাইল কোর্টে জরিমানা ও নেট জাল বিনষ্ট করা হয়েছে। মানুষকে অপরাধ না করতে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সভা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও মহোদয়সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করা হবে।