ঘরমুখী মানুষের ঈদ কাটছে ফেরিঘাটে
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে প্রায় ২০ ঘণ্টা আটকে থাকার পরও ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি যেতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে আজ শনিবার ঈদুল আজহা কাটাতে হচ্ছে ফেরিঘাটেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাজধানী থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করে। শুক্রবার ঈদের আগের দিন হওয়ায় ঢাকা ছাড়েন অনেকেই। তবে সন্ধ্যার পর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ। পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মাসেতুর কনস্ট্রাকশান ইয়ার্ডের কিছু অংশ বেশ কিছু মালামাল নদীতে ডুবে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন শিশু, নারী ও বৃদ্ধ মানুষজন।
এদিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকে সারি সারি গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। এর ফলে পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ দীর্ঘ হতে থাকে।
রাজবাড়ীর পুলক হাসান বলেন, আশুলিয়ার পোশাক কারখানায় চাকরি করি। বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। সহকর্মী যারা ছিলো, সবাই বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু বিপাকে পড়েছি আমরা। ঈদের আগে ভিড় বা যানজট কম হবে বলে শুক্রবার রওয়ানা করেছি। এখন বড়ই বিপদে পড়েছি। বাড়িতে যাওয়া হয়নি। এমন ঈদ কখনো হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বাড়ি ফেরা মানুষদের চাপ বেড়েছে। তাই মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে যানবাহন পারাপারের জন্য ১৪টি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ডিসি এস এম ফেরদৌস বলেন, আজ দুপুর ১২টার পর স্বাভাবিক হবে ফেরি পারাপার। বিআইডব্লিউটিসির পাশাপাশি তিনি ও তার কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, আনসার ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘাটে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।