অনিশ্চয়তার মুখে চীনা কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ক্রমেই প্রকট রূপ ধারণ করছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আংশিক সাফল্য পেয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। একইসঙ্গে গবেষণা চলছে চীনে। দেশটির ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপ ট্রায়াল দেয়ার প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।
কিন্তু পরীক্ষা চালাতে এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায়নি তারা। মন্ত্রণালয় বলছে, দুটি দেশের মধ্যকার বিষয় হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পরেছে চীনা কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।
চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করছে। যেহেতু চীনের বাইরে একাধিক দেশে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই ওই সংস্থা চাইছে চীনের বাইরে কোনো দেশে হিউম্যান ট্রায়াল চালাতে। এজন্য বাংলাদেশকেও বেছে নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে৷ ট্রায়াল শেষ হতে লাগবে ১৮ মাস৷
চীনা প্রতিনিধিদলের সফরের সময় এমনও বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতিও পেতে পারে। আর সেটি হবে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।
বিএমআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষা সর্বশেষ ধাপ৷ এটা সম্পন্ন হলে জানা যাবে যে করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন মানবদেহে কার্যকর হবে কি না৷ আমাদের কাছে আইসিডিডিআর’বি প্রটোকল জমা দিয়েছিল৷ ন্যাশনাল এথিকস কমিটি এথিক্যালি অনুমোদন দিয়েছে৷ কিন্তু এখনো আরো কিছু অনুমোদন লাগবে৷ তার মধ্যে রয়েছে ওষুধ প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, আর যে হাসপাতালগুলোতে কাজ হবে তাদের অনুমোদন৷ এছাড়া কিছু রিএজেন্ট আনারও অনুমোদন দরকার হবে৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন থেকে যারা এসেছে তারাও যোগাযোগ করেছে। এটা যেখানে ভালো হয় আমরা সেটাই গ্রহণ করবো। অনুমোদন তো সরকারের প্রসেসিং।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা নেই। এখনো প্রোপোজালটা আমাদের কাছে আসেনি। এটা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তারা ঠিক করে আমাদের জানাবে, এই ব্যাপারে আমার জানা নেই।