ব্লাড ক্যান্সারের আগাম লক্ষণগুলো জেনে নিন
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সারের মতো ব্লাডেও ক্যান্সার হয়। যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকোমিয়া যে কারো হতে পারে। তাই এখন থেকেই আমাদের সতর্ক থাকা খুব জরুরি।
সাধারণত যেসব মানুষ ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকোমিয়াতে ভোগেন তাদের রক্তের শ্বেত রক্ত কণিকাগুলো কার্যক্ষম হয় না। যার কারণে রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দ্রুতই ভয়ানক অবস্থায় চলে যেতে পারেন। তাই আগে থেকে এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে শুরু থেকেই চিকিৎসা করানো সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকোমিউয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে-
ওজন হ্রাস
ওজন অনেক কারণেই কমতে পারে তবে সেটা একসময় থেমে যায়। আবার ওজনের ঘাটতি পূরণও হয়ে যায়। তবে লিউকোমিয়ার ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রতিনিয়ত ওজন হারাতে থাকবেন। সেই মুহুর্তে নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া কিংবা পুষ্টিকর খাবারেও লাভ হয় না।
অল্পতেই রক্তপাত
লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির খুব সহজেই রক্তপাত হওয়ার হার অনেক বেশি। এর কারণ হচ্ছে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হলে ব্যক্তির রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা ও অনুচক্রিকা বা প্লেটলেটের হার অনেক কমে যায়, যা এনেমিয়ারও লক্ষণ। এই কারণে চামড়ায় সামান্য আঘাতেই অনেক রক্তপাত হয়। কারো সঙ্গে এই ব্যাপারটি ঘটলে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত কারণ এটি লিউকোমিয়ার অনেক বড় একটি লক্ষণ।
শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে দাগ হওয়া
লিউকোমিয়া হলে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে চামড়ার ভেতরে দাগ হয়ে যাবে। অনেক সময় চামড়ায় ঘষা লেগে কিংবা চাপ লেগে লাল হয়ে যেতে পারে। তবে লিউকোমিয়ার ক্ষেত্রে উপসর্গটি সম্পূর্ণ আলাদা। চামড়ায় চাকা চাকা লাল দাগ হয়ে যাবে এবং অনেক ক্ষেত্রে ফুলতেও পারে।
ফ্লু
লিউকোমিয়ার ক্ষেত্রে সবচাইতে কমন যে লক্ষণ চোখে পড়ে সেটা হচ্ছে ফ্লু। লিউকোমিয়া হলে শরীরের অ্যান্টিবডি যখন কাজ করা বন্ধ করে দেয় তখন সবার আগে শরীরে ফ্লু-এর সংক্রমণ হয়। যদি দুই-তিন দিন পর ফ্লু ভালো হয়ে যায় সেটা সাধারণ ফ্লু-এর লক্ষণ। তবে যদি টানা জ্বর, শীত করা, ক্লান্তি- অনুভূত হয় তবে দ্রুত ডাক্তার দেখানো জরুরি।
অবসাদ
অবসাদ লিউকোমিয়ার অন্যতম উপসর্গ। এই রোগে আক্রান্ত রোগী খুব অবসাদে ভোগেন। এটি সাধারণ অবসাদের থেকে ভিন্ন এবং মাত্রায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। লিউকোমিয়া রোগের প্রথম ধাপ থেকেই অবসাদের ব্যাপারটা শুরু হলেও অনেকে এটিকে এড়িয়ে যান। তবে যদি কেউ কখনো টানা তীব্র অবসাদ অনুভব করেন, তাহলে তার দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।