সাতক্ষীরায় বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদ করিমকে আটক করেছে র্যাব:জেলাবাসীর স্বস্তি
বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে র্যাবের বিশেষ অভিযানে দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ বোরকা পরিহিত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। জনৈক বাচ্চু দালালসহ কয়েকজন দালালের মাধ্যমে সীমান্ত নদী ইছামতি দিয়ে নৌকায় ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় আগে থেকে নজরদারিতে রাখা সাহেদ করিমকে র্যাবের একটি চৌকসদল দল নৌকায় ওঠার আগেই তাকে গ্রেফতার করেন বলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল আহমেদ সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে এক প্রেসব্রিফিং এসব কথা জানান। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সীমান্তের কয়েকজন দালাল মানুষ পাচার ও চোরাকারবারে জড়িত। এদের মধ্যে কয়েকজনকে তারা চিহ্নিত করেছেন। তাদের মাধ্যমেই সাহেদ করিম ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে সাহেদ করিম তার চুল ও গোফ কেটে ছেটে ফেলে এবং চুলে কালো রং করে।। পরে বোরকা পরে পালিয়ে যাচ্ছিল সে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। আটকের সময় তার সাথে র্যাব সদস্যদের ধস্তাধস্তি হয়। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি আরো জানান। এর আগে এ ঘটনায় আরো ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রেসব্রিফিং শেষে সকাল ৮ টায় তাকে র্যাবের দুটি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে তাকে গ্রেফতারের জন্য সাতক্ষীরার আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে চিরুনি অভিযান চালায়।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে ভুয়া করোনা টেস্টের অভিযোগে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সরোয়ার আলম অভিযান পরিচালনা করার পর থেকে সাহেদ করিম পলাতক ছিলেন। র্যাব অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট প্রদান ও হাসপাতালে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুর শাখা দুইটি সিলগালা করে দেয়। সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ৫৬টি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া একজন এসএসসি পাস হয়ে সমাজের উচ্চ স্তরের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলে তা ফেসবুকে দিয়ে প্রতারণার কৌশল করেন।