কুয়েতে আটক এমপি শহিদুল ইসলাম পাপুল
কুয়েতে আটক এমপি শহিদুল ইসলাম পাপুল অর্থ ও মানবপাচারে সহযোগিতার জন্য দেশটির দুই এমপিকে বড় অঙ্কের অর্থ ঘুষ দেয়ার কথা ’স্বীকার করেছেন’। সেদেশের এমপি সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি ও সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদকে মোট ৫ লাখ ৭০ হাজার কুয়েতি দিনার বা ১৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ঘুষ দেন পাপুল।
পাবলিক প্রসিকিউশনের বরাতে সোমবার কুয়েতি সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য জানা যায়।
ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস লিখেছে, জাতীয় পরিষদের কাছে দুই এমপির দায়মুক্তির বিধান উঠিয়ে নেয়ার আবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাবলিক প্রসিকিউশন। এর মধ্যে আর্থিক লেনদেন এবং বাণিজ্যিক কাজে সহযোগিতার সাদুন হাম্মাদকে ২ লাখ কুয়েতি দিনার পাপুল দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, এক সিরীয় মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সাদুন হাম্মামের দক্ষিণ সুরার বাসায় নগদে ৫০ হাজার দিনার পৌঁছে দেয়া হয়। বাকি দেড় লাখ দিনার দেয়া হয় চেকের মাধ্যমে।
আরবি দৈনিক আল-কাবাসের খবরে বলা হয়, এমপি সালাহ খুরশিদকে দেয়া হয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কুয়েতি দিনার। তার বাসায় কয়েক কিস্তিতে ওই অর্থ পৌঁছে দেয়া হয়। বাংলাদেশকে অবৈধভাবে কর্মী আনার ক্ষেত্রে সহযোগিতার করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য ওই অর্থ দেয়া হয়েছিল জানিয়েছে পাবলিক প্রসিকিউশন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তিনি কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
পাপুলের অর্থ ও মানবপাচারের ঘটনায় তদন্ত চলার মধ্যে ঘুষ লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য জানিয়ে আসছে কুয়েতি সংবাদমাধ্যম। দেশটির কয়েকজন এমপি ছাড়াও সেনা কর্মকর্তা ও সরকারি আমলাদের সংশ্লিষ্টতার খবর প্রসিকিউশনের বরাতে দিচ্ছে পত্রিকাগুলো।
সোমবার আল-কাবাস জানিয়েছে, পাপুল ও তার সহযোগীদের কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছে কুয়েতের জাতীয় পরিষদ।