নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প: উপমন্ত্রী
সারাদেশে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বেলটিয়া গ্রাম পরিদর্শনে সময় এ কথা বলেন তিনি।
এনামুল হক শামীম বলেন, প্রতিটি বাঁধ উঁচু, প্রশস্ত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। নদীগুলোতে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সারাদেশে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের ফলে মানুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন যারাই করবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। জেলা প্রশাসকদের সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সব জেলায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্ব একটি কমিটি রয়েছে। অপরদিকে যারা নদীগুলোতে অবৈধ স্থাপনা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এরইমধ্যেই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছে চিঠি দিয়ে কোন কোন জায়গায় অবৈধ দখলে রয়েছে, সেগুলোর তালিকা এসেছি।
বেলটিয়া গ্রামে নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারাদের সরকারি উদ্যোগে পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নদীর পানি শুকিয়ে গেলে ড্রেজিংয়ের বালি দিয়ে ভরাট করে যার যেখানে ঘর-বাড়ি ছিল সেখানেই বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে।
এরপর উপমন্ত্রী এলাকাটিতে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭টি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার করে টাকা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, স্থানীয় এমপি হাছান ইমান খান সোহেল হাজারী, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজার) মো. আজিজুল, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম আরা নিপাসহ জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতারা।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ের ২য় রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই গত কয়েকদিন আগে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাঁধের ব্লক ভেঙে যায়। এতে যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বেলটিয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘড়-বাড়ি।