বাঁশদহার শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় যুবলীগ নেতা আহত
পূর্বশত্রুতার জের ধরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ননের ৯ নং ওয়ার্ড(তলুইগাছা) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাউল ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম লাভলুকে ব্যাপক মারপিট করেছে বাঁশদহা এলাকার শীর্ষ চোরাকারবারী, মাদক, স্বর্ণ ও হুন্ডি ব্যবসায়ী নাজমুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় ছিনতাই করা হয়েছে খোরশেদ আলম লাভলুর কাছে থাকা চাউল বিক্রির দের লক্ষ টাকা ও মোবাইল ফোন। ওই সন্ত্রাসীদের মারপিটে খোরশেদ আলম লাভলুর চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। শনিবার (৪ই জুন) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা বাজারের জনৈক ময়না এ্যালুমিনিয়াম দোকানের সামনে এঘটনাটি ঘটে।খোরশেদ আলম লাভলু তলুইগাছা গ্রামের আঃ রহিম সরদারের ছেলে।
খোরশেদ আলম লাভলু জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সদর উপজেলার টেংরা এলাকার মৃত রহিম হোসেনের ছেলে ইব্রাহীম হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসতেছিলো তান। এরই জেরধরে শনিবার সন্ধ্যায় সে চাউল বিক্রয় করে বাড়িতে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাঁশদহা এলাকার জামায়াত ক্যাডার সোবহান হাজীর ছেলে শীর্ষ চোরাকারকারী, মাদক, স্বর্ণ ও হুন্ডি ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন, তার ছেলে কায়েমুল ইসলাম, ইব্রাহীম হোসেন, টেংরা এলাকার রেজাউল ইসলাম, তলুইগাছা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আনারুল ইসলাম, সাইদুল ইসলামের ছেলে আলিফ নূর, হযরত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, মৃত মোসলেম আলীর ছেলে লিয়াকত আলীসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন ব্যক্তি তার উপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এ সময় খোরশেদ আলম লাভলু মাটিতে পড়ে গেলে ছিনতাই করা হয় খোরশেদ আলম লাভলুর কাছে থাকা চাউল বিক্রির দেড় লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন। মারপিটের কারনে লাভলু চিৎকার শুরু করলে বাঁশদহা বাজারের লোকজন ছুটে আসলে পালিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় স্থানীয়রা গুরুত্বর আহতাবস্থায় খোরশেদ আলম লাভলুকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁশদহা এলাকার একজন সাবেক মেম্বরসহ অনেকেই বলেন, এমন কোন কাজ নেই যেটা জিরো থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া নাজমুল করেনি। তার তান্ডবে বাঁশদহা এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সে এই এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী লালন করে। সে ও তার বাহিনীর তীব্র অত্যাচারে তটস্থ বাঁশদহা এলাকার আপামোর জনসাধারণ। সে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তারা সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায়। আমরা নাজমুলসহ ওই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের শাস্তির জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাননি জানিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আছাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্দপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।