আশাশুনির সফল করোনা যোদ্ধা গোলাম মোস্তফা

আশাশুনি উপজেলার একজন সফল করোনা যোদ্ধা জি এম গোলাম মোস্তফা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেনেটারি ইন্সেপেক্টর। দায়িত্ব বাড়ী, দোকান, বাজার পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে মানুষকে সচেতন করা। আইন অমান্য করে যদি কেউ নোংরা পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য পরিবেশন করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কিন্তু সম্প্রতি মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন করোনার নমুনা সংগ্রহে। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে (২০১৯ ডিসেম্বর) করোনা নিয়ে ডিউটি শুরু করেন ভোমরা স্থল বন্দরে। পরে ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে নিজ কর্মস্থল আশাশুনিতে শুরু করেন করোনা উপসর্গ রোগীর স্যাম্পল বা নমুনা সংগ্রহ করা। খেয়ে না খেয়ে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অ ল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে ছুটে চলেছেন তিনি।

করোনার স্যাম্পল বা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বটি প্যাথলজি বিভাগের উপর বর্তালেও কোন আপত্তি ছাড়াই দেশ ও দেশের মানুষের সেবাই নিজের কাঁধে তুলে নেন করোনার নমুনা সংগ্রহের মত এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব। করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক একান্ত স্বাক্ষাতকালে সেনেটারি ইন্সেপেক্টর জিএম গোলাম মোস্তফা বলেন, শুধু দায়িত্ব পালনের জন্য নয়, দেশ তথা জেলা ও উপজেলার মানুষকে সুস্থ রাখতে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবার পরিজন থেকে হতে হয়েছে একেবারে আলাদা। পরিবারকে সুস্থ রাখতে আলাদা একটি নির্জন বাসায় একাই বসবাস করেন এমনটিই জানান তিনি। তবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নমুনা সংগ্রহ করি বলে জেলা সদরে বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেক কর্মচারীই আমাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখেন। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি। ঘৃণা বা হাজারও অপমান মেনে নিয়ে শত কষ্ট হলেও উপজেলার প্রত্যন্ত অ লে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পালনে তিনি কোন দিন পিছু পা হবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবন্ধ হন। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে করোনা যোদ্ধার তালিকায় অধিকাংশ কর্মচারী তাদের নাম অন্তর্ভুক্তও করিয়েছেন। যারা কিনা কখনও করোনা প্রতিরোধে অফিস থেকে বাইরে যাননি। এছাড়া অনেকে অফিসে বসেও টিএ-ডিএ বিল উত্তোলন করেছেন। তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামীতে সে সকল ভূয়া করোনা যোদ্ধার নাম মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তারা। সেনেটারি ইন্সেপেক্টর গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শনাক্ত ও করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনা মূলক প্রচারে মুগ্ধ আশাশুনি উপজেলাসহ ভোমরা স্থল বন্দরের সাধারণ মানুষ। ইতি মধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে একজন করোনা যোদ্ধায় ভূষিত হয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)