দেশের ইতিহাসে প্রবাসী আয় ও রিজার্ভে রেকর্ড
সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। সেই সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৬ বিলিয়ন ডলারের (তিন হাজার ৬০০ কোটি) মাইলফলক অতিক্রম করে করেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ১৪৪ বিলিয়ন ডলার বা তিন হাজার ৬১৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যা এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
এর আগে কোনো অর্থবছরে এতো অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৮৩ কোটি ২৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বেশি। গত বছর জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, প্রবাসী আয়ে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ঘোষণায় বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ বোধ করছে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা।
এদিকে, গত ৩ জুনে প্রথমবারের মতো দেশের রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর মাস পার হওয়ার আগেই রিজার্ভে দুই বিলিয়ন ডলার যুক্ত হলো। গত ২৩ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করে। আমদানিতে বড় ধসের বিপরীতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন ও রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়ানোকেই রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।