যৌতুকের জন্য সাতক্ষীরায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে সাতক্ষীরায় এক গৃহবধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৮ জুন) ভোররাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল শেখপাড়া এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যাকারী ওই গৃহবধূর মা সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজহার দায়ের করেছেন।
এজহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৯মার্চ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাটিয়া ফুড অফিস মোড় এলাকার একে এম আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. তাইমুর আলমগীর (নয়ন) এর সাথে বাকাল শেখপাড়া এলাকার মৃত শেখ আবদুস সামাদের মেয়ে মোছাঃ ছালেয়া আক্তার ছানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই নয়নের ভাই মো. মিঠুন হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ পাপিয়া সুলতানা ছানিয়ার কাছে বিভিন্ন জিনিসপত্র দাবি করতে থাকে।
ছানিয়া বিষয়টি তার স্বামী নয়নকে জানালে সে তার ‘পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনের সব কথা মেনে নিতে হবে’ না হলে ছানিয়ার সঙ্গে তার সংসার করা হবেনা বলে ভয় দেখাতে থাকে।
এ ঘটনার পর গত ২৬ মার্চ ছানিয়া বাঁকালে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় মো. মিঠুন হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ পাপিয়া সুলতানা প্রায় ওখানে যেয়ে ছানিয়াকে জিনিসপত্রের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং তাকে অমঙ্গল বলে আখ্যায়িত করে।
কিছুদিন পরে ছানিয়ার স্বামী মো. তাইমুর আলমগীর (নয়ন) ছানিয়াকে ফোন করে জিনিসপত্র না দিলে তার সঙ্গে সংসার করবেনা বলে জানায় এবং তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে বলে, ‘তোর কারণে আমাদের বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তুই গলায় দড়ি দিয়ে মর। তুই বেঁচে থাকলে আমাদের পরিবারে আরো অশান্তি বাড়বে।’
এসব কথা সহ্য করতে না পেরে মনের ক্ষোভে রোববার (২৮ জুন) ভোররাতে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে ছানিয়া আত্মহত্যা করে।
এজহারে ছানিয়ার মা জোছনা খাতুন আসামীদের উস্কানীমূলক কথাবার্তার কারণে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।