সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তিন বনদস্যু নিহত
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ‘খান বাহিনী’র তিন সক্রিয় সদস্য নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে সুন্দরবনের ফিরিঙ্গি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঐ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) কে সনাক্ত করা গেলেও অপর দুইজনের নাম পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত অপর দুই জনের পরিচয় জানা যায়নি। অভিযানে অংশ নেয়া র্যাব-৬ এর কয়েকজন সদস্যও আহত হয়।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, বেলা দশটার কিছু পরে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। অধিক রক্তক্ষরণের কারনে তাদের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতারেল জরুরী বিভাগ সুত্র নিাশ্চিত করে। এসময় র্যাবের আহত সদস্যদেরও চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমূল হূদা ঘটানার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে অভিযানের বিষয়ে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করেও র্যাব-৬ এর মুন্সিগঞ্জ অফিসের কোন বক্তব্য পাওযা যায়নি। র্যাব এর ডিজি কুলনা প্রেস কনফারেন্স করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে বিশ্বস্থ একটি সুত্র নিশ্চিত করে।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানিয়েছে খান বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে বাংলাদেশ এর অংশের জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো। অভিযানের আগেই তারা সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে বারতীয় সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে বারতে চলে যেয়ে সেখানে অবস্থান করতো।
উল্লেখ্য সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনে খান ও বুলবুলসহ কয়েকটি ছোট ছোট বনদস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়। গত ২০ জুন সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া চার জেলেকে মক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে একটি বনদস্যু বাহিনী। ঐ ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা গত শুক্রবার থেকে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করছিল।