কেশবপুরে হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাই মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টার অভিযোগ
যশোরের কেশবপুরে মারপিট করে হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাই মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।কেশবপুর থানায় মামলা সূত্রে জানাগেছে, ত্রিমোহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও মির্জানগ গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহ গাজীর পূত্র শামছুর রহমান জরুরী প্রয়োজনে সাইকেল যোগে গত ১৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় দিকে ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আনিসুর রহমানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হন। পথিমধ্যে রাত ৮ টার দিকে চাঁদড়া ঈদগাহ মোড়ে ইটের সলিং রাস্তায় পৌছালে চাঁদড়া গ্রামের ওজিয়ার রহমান ওজি, হাফিজুর শেখ হাফিজ, সালাউদ্দীন মোড়ল, মিলন শেখ, নজরুল ইসলাম, আজিজুর শেখ, মফিজুর রহমান মনু-সহ আরো অজ্ঞাতানামা ২/৩ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা-সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শামছুর রহমানকে মারপিট করে হত্যার উদ্ধেশ্যে মাথা ফাটিয়ে দিলে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় হামলাকারীরা শামছুর রহমানের পকেটে থেকে ৫ হাজার টাকা ও ২১ হাজার ৫ শত টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। শামছুর রহমানের আত্নচিৎকারে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। শামছুর রহমান বাদী হয়ে আসামীদে নাম উল্লেখ করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ বিষয়টা তদন্ত করে ১৭ মে মারপিট করে হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাই মামলা গ্রহণ করে। যার নং ১০। পরবর্তীতে আসামীরা মামলা তুলে নিতে বাদিকে অব্যাহত হুমকী প্রদান করতে থাকে।
এদিকে মারপিট করে হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাই মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য গত ৫ জুন রাতে মামলার অন্যতম আসামী মিলন শেখের বাড়িতে বাদী পক্ষরা মুখোশ পরে অবস্থান নিয়েছে ও তার পরিবার-পরিজনদের ক্ষতি করতে পারে বলে অপপ্রচার চালাতে থাকে। বিষয়টি ভাল্যুকঘর পুলিশ ক্যাম্পের টু-আইসি শফিকুল ইসলাম তদন্ত করেছেন।