নতুন নিয়মে শুরু বাস চলাচল
দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে বাস চলাচল। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে রাজপথে। সীমিত পরিসরে নতুন নিয়মে বাস চলাচল শুরুর প্রথম দিনে যাত্রী ও চালক-হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা গেছে।
বাসের অর্ধেক আসন খালি রেখে যাত্রী বহন করছে চালক-হেলপাররা। চালক-হেলপার ও যাত্রীদের প্রায় সবাইকেই মাস্ক পরতে দেখা গেছে। তবে বাসে চালক-হেলপারদের সবাইকে পিপিই পড়তে দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশদেরও তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
তবে বাড়তি ভাড়া নিয়ে কিছুটা মনোক্ষুন্ন দেখা গেছে যাত্রীদের। এদিকে দীর্ঘদিন পর বাস চলাচল শুরু হওয়ায় মুখে হাসি দেখা গেছে চালক-হেলপারসহ সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার সকালে রাজধানীর সায়দাবাদ, গোলাপবাগ, মতিঝিল, মানিকনগর, যাত্রাবাড়ি এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছ এমন চিত্র।
গোলাপবাগে রওদা পরিবহনের বাসের চালক ইব্রাহিম জানান, তারা প্রতি দুটি আসনে একজন করে যাত্রী বসাচ্ছেন। এজন্য ভাড়াও বৃদ্ধি করতে হয়েছে। তবে এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কোন অসন্তোষ নেই বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু কিছু বাসে হেলপার যাত্রী বাসে উঠার পরপরই যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দিচ্ছেন। কিছু বাসের চালক-হেলপার জানান তাদের পিপিই দেয়া হলেও দীর্ঘক্ষণ তা পরে থাকতে কষ্ট হওয়ায় খুলে রেখেছেন।
গোলাপবাগ থেকে বাসাবো যাওয়ার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মনির নামে এক ব্যক্তি। বাস এলে কন্ট্রাক্টরের কাছে ভাড়া কত জানতে চাইলে বলে ২৫ টাকা। এইটুকু রাস্তায় এতো ভাড়া চাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আর বাসে উঠলেন না তিনি। জানান, মাত্র এক-দেড় কিলোমিটারের ভাড়া যদি এতো টাকা হয় তাহলে আমরা চলাফেরা করবো কিভাবে!
এদিকে সায়দাবাদে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে দায়িত্বরত টিকিট বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন বাস বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে বাসায় বসে ছিলাম। কোনো আয় রোজগার ছিলো না। এখন বাস চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। যদিও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু কিছু করার নেই। আগেতো খেয়ে বাঁচতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সায়দাবাদ থেকে রামপুরা পর্যন্ত বাস ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৪০ টাকা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া আগে ছিল ৪৮০ টাকা। এখন ৮০০ টাকা। নোয়াখালির ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। এখন নেয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। কিশোরগঞ্জের ভাড়া ছিল ২২০ টাকা। এখন ৩৫০ টাকা। এভাবে প্রতিটি রুটেরই ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করে চলছে বাস।
এদিকে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস যাত্রী উঠানো ও বাস চলাচল করতে বেশ তৎপর দেখা গেছে। গাদাগাদি করে বাসে উঠতে চেষ্টা করলেই যাত্রীদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। করা হচ্ছে মাইকিংও।