ভোলায় আম্ফানের প্রভাবে ১৫ গ্রাম প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ভোলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। আম্ফানের প্রভাবে বুধবার নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদের মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম, কুকরী-মুকরি ইউনিয়নের নিমাঞ্চলের ২টি গ্রাম ও মনপুরা উপজেলার চর নিজামন, মহাজন কান্তি, কলাতলির চর রয়েছে।
এছাড়াও পানিতে তলিয়ে গেছে ওই গ্রামের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, পুকুর, মাছের ঘেরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকাল থেকেই জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইছে। দুপুর পর্যন্ত ভোলার ২১টি চরসহ ঝুঁকিপূর্ণ নিমাঞ্চলের ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ ১ হাজার ১০৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া এসব মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে শুকনা খাবার বিরতণ করা হয়েছে। দুপুরেও তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আম্ফানের কারণে ভোলার সাত উপজেলার সকল নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা এবং মালবাহী জাহাজ ইতোমধ্যে তীরে নোঙর করা হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ২শ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৭ লাখ টাকাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রচারণা ও মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, পুলিশসহ সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের ১০ হাজার ২৫০ জন সদস্য কাজ করে যাচ্ছে।