যশোরের বেনাপোলে তিন দিনে দেশে ফিরলেন  ৮৫৯ বাংলাদেশি

যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশি যাত্রী আসা বেড়েছে। গত তিন দিনে ৮৫৯ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। তাদের সবাইকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ফেরা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ১৩ মে থেকে বাতিল করা হয়েছে। যে কারণে এখন যারা দেশে ফিরছেন, তাদের শরীরে

করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ যানবহনের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ভারতে লকডাউনের কারণে আটকে পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মধ্যে যারা বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরছিলেন, তাদের বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টার ও ঝিকরগাছা উপজেলার গাজির দরগাহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

গত ৬ এপ্রিলের আগে ভারত থেকে যারা দেশে ফেরেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তারা নিয়ম না মানায় হোম কোয়ারেন্টিন নিয়ম বাতিল করে সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার নিয়ম চালু করা হয় গত ৬ এপ্রিল থেকে। এর পর থেকে ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন রাখা হয়। পরে ঝুঁকিমুক্ত হলে তারা বাড়িতে ফিরছিলেন। গত ১৩ মে নতুন নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলে তারা নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এই নির্দেশনার পর যাত্রীদের প্রায় সবাইকে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।

ভারত ফেরত যাত্রীরা বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে গেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভারত থেকে যাত্রীরা বেনাপোল চেকপোস্টে আসার পর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারও শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলে তাকে উপসর্গমুক্ত সনদ দেওয়া হচ্ছে। আর উপসর্গ থাকলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন চারজনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন, করোনাভাইরাস উপসর্গমুক্ত ব্যক্তিকে বিশেষ যানবাহনে করে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর কথা সরকারি নির্দেশনায় বলা আছে। সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের।

ভারত ফেরত যাত্রীদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, ‘ডেডিকেটেড ট্রান্সপোর্ট বলতে আসলে বোঝানো হচ্ছে, যে যানবহনে করে ভারতফেরত যাত্রীরা বাড়িতে ফিরবেন ওই যানবাহনে অন্য কোনো যাত্রী উঠতে পারবেন না। সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যানবাহন চলাচলে নিধেষাজ্ঞা আছে। প্রত্যেক উপজেলা সীমানায় প্রশাসনের চেকপোস্ট আছে। সেখানে তল্লাশি করা হয়।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)