তালায় ভারপ্রাপ্ত নায়েব আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার
সাতক্ষীরায় জেলায় তালা উপজেলায় ০৮ নং মাগুরা ইউনিয়নে ০৯ নং রগুনাথপুর ওয়ার্ডের সাম্প্রতিক ১২ ই মে কতিপয় কিছু অসাধু ব্যক্তিদের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অপচেষ্ঠায় লিপ্ত ০৮ নং মাগুরা ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য ও কতিপয় কিছু দুর্নিতীবাজ। প্রসঙ্গসূত্রে গত ১২ই মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা হিসাবে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দানের সঠিক তালিকা যাচাইয়ের জন্য মাগুরা ও খলিশখালি ইউনিয়নের উপভুমি সহকারী কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপভুমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) মোঃ আব্দুল জলিল সাহেব এর উপর দায়িত্ব অর্পিত হয়। তিনি বিষয়টি যাচাই বাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে ০৯ নং ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেন। কাজের ২য় দিনে উক্ত ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য মোঃ ইয়াছিন আলীর বাড়িতে যাচাই বাচাইয়ের কাজ চলাকালীন ইউ.পি সদস্যের সাথে দ্বিমত হওয়ায় ঐ এলাকায় জনৈক্য আকবার আলী ও প্রদীব বিশ্বাস কে ব্যবহার করে নায়েব সাহেব টাকা গ্রহণ করছে মর্মে একটি অভিযোগ আনায়ন করেন। যাহাতে টাকা আদান প্রদান হয়েছেস বা হচ্ছে তারা ইউ.পি সদস্যের আপন ভাগ্নে, ভাগ্নে বৌ ও তার আপন চাচী হইতেছে। বিষয়টির উপর অনুসন্ধানে জানা যায় , উক্ত ওয়ার্ডে তালিকায় নাম থাকা (১) ফাতেমা বেগম জং আফছার বিশ্বাস (২) রিংকু বেগম জং অমেদ আলী (৩) নাজমা বেগম জং আব্দুল কুদ্দুস (৪) হাসিনা বেগম জং মোজাহার (৫) সাবিনা বেগম জং আকবার মোড়ল (৬) ঝর্ণা বেগম জং আব্দুল গফুর সর্ব সাং- রগুনাথপুর জানান নায়েব সাহেব আমাদের কাছে শুধুমাত্র এন.আই.ডি নম্বর চেয়েছিল এবং আমরা সেটিই দিয়েছি এবং কোনো টাকা পয়সা দেয়নি এবং আমাদের কাছে তিনি কোনো টাকা পয়সা চাইনি। এবং একজন বলেন পবিত্র কুরআন মাজীদ মাথায় নিয়ে বলতে পারবো নায়েব সাহেব কোনো টাকা পয়সা গ্রহণ করেননি। তিনি একজন অত্যান্ত ভালো মানুষ।
উল্লেখ্য অন লাইন সংবাদ প্রচারে টাকা না দিতে পারার বিপরীতে লিচু হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে সরজমিনে তদন্তে জানা যায় যে, ভুক্তভুগী আব্দুল গফুর শেখ পিতা অজ্ঞাত ও ঝর্ণা বেগম জং আব্দুল গফুর শেখ জানান যে, নায়েব সাহেব ও আমাদের এলাকার আরো ২ জন আমাদের বাড়িতে আসেন। জনৈক্য প্রদীব বিশ্বাসকে একটি লিচু খেতে বলি এবং নায়েব সাহেব রোজা রাখায় ইফতারির জন্য আমরা আমাদের গাছের ৪টি লিচু তার বাইকের থলের ভিতরে ঢুকিয়ে দিই। আমাদের কে বলে, ভোটার কার্ড নিয়ে একটু যোগাযোগ করবেন। তিনি আমাদের কাছে কোনো টাকা ঘুষ চাইনি এবং আমরা তাকে কোনো টাকা দেয়নি । আমি রোজা রাখছি মিথ্যা কথা বলবো না মর্মে জানান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউ.পি সদস্য মোঃ ইয়াছিন সাহেব জানান, নায়েব সাহেব টাকা গ্রহণ করেছে। আমার ভাগ্নে, ভাগ্নে বৌ ও চাচীর কাছ থেকে। বাস্তবতার আলোকে নায়েব সাহেব টাকা গ্রহণ করেছে মর্মে পরিলক্ষিত হয় না। স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর রাশিদা বেগম জানান যে, নায়েব সাহেবের সাথে টাকা আমাদের এলাকার আকবার ও প্রদীব মানুষের কাছ থেকে নায়েবের নাম ব্যবহার করে টাকা নিয়েছে আমি শুনে ঘটনালে যেয়ে আকবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই মহিলার টাকা ফেরত দিই। এ বিষয় নিয়ে নায়েব সাহেবকে লাঞ্চিত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান মেম্বর সাহেবের বাড়ির পাশে কিছু লোক একত্রিত হয়েছিল। ৮ নং মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব গণেশ দেবনাথ জানান, আমি ঘটনালে যাইনি লোকের মাধ্যমে এমন একটি বিষয় জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, কোথাও কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। আমার কাছেও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।
এ বিষয়য়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবল হোসেন বলেন যে, বিভিন্ন মাধ্যমে এমন একটি বিষয় আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরাকে অবগত করেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।
Please follow and like us: