শোভনালীতে খালের মাটি কেটে রাস্তার পাশে ও বাড়ি ভরাট করায় মামলা
আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে খালের মাটি কেটে নিয়ে রাস্তার পাশে এবং বসবাসের বাড়ি ও মসজিদের পাশে ভরাট দেওয়ার অপরাধে ২৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিছক ঘটনা নিয়ে মামলার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আশাশুনি বদরতলা সড়ক থেকে বসুখালী হাফিজিয়া মাদরাসা সড়কের পাশে বসুখালী সরকারি খাল জল মহালের এক পাশে ইটের সোলিংকৃত রাস্তা এবং অন্যপাশে মাছের ঘের। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। সড়কের পাশের মাটি খালে পড়ে অনেকস্থানে সড়কের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। সড়কের পাশ দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের বসবাস। বর্ষা মৌসুমে বাড়ির উঠানসহ আশপাশের নীচু জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সড়কের উপরও অনেক সময় পানি উঠে যায়। সড়কের পাশে মাটি না দেওয়ায় উপজেলার অনেক সড়ক যেখানে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, সেখানে এখানকার বাসিন্দারা নিজেদের যাতয়াতের পথ ভাল রাখতে খালেন মাটি কেটে স্বেচ্ছায় রাস্তার পাশে ভরাট করে রাস্তাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সড়কের পাশের বাড়িগুলোর নীচু স্থানে মাটি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে বাঁচতে স্বপ্ন দেখছে। মসজিদকে টিকিয়ে রাখতে পাশে মাটি ভরাট দিয়েছে। অপর পাড়ে খাল ভাংতে ভাংতে পাশের জমি নিজের করে নিয়েছে। সেখানে গড়ে ওঠা ঘেরমালিক খালের মাটি কেটে বাঁধকে মজবুত করেছেন। এসব কাজে বাঁধা দিয়ে কিছু অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের আশা পুরন না হওয়ায় খাস জমি দখল ও রাস্তা দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তারই পরবর্তী পদক্ষেপ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ভুল বুজিয়ে অসহায় ২৯ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করান হয়েছে। এমনকি রাস্তা ও খালের পাশে এক শতক জমি না থাকলেও ইসহাক আলি ও বাড়ির মধ্যে নিজে নিজে সামান্য কিছু মাটি ভরাট দেওয়ায় বিধবা চরম বিপদাপন্ন নূর জাহানকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে এলাকার মানুষ খালের মাটি কেটে খালকে সচল রেখে এসেছেন। অথচ আজকে নতুন করে মামলার উদ্ভব হওয়ায় আসামীদের পরিবারগুলো চরম ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তারা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সাথে সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের অপচেষ্টা ভবিষ্যতে কোন মানুষকে ক্ষত্রিগ্রস্ত না করতে পারে সেজন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।