আশাশুনিতে মুয়াজ্জিন মসজিদে অবরুদ্ধ :৫ ঘন্টা পর উদ্ধার
আশাশুনি সদরের হাড়িভাঙ্গা বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিনকে অবরুদ্ধ করে রাখার ৫ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ঘুণার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ফজরের সালাতের পর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানাগেছে, মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে মৃত দবির ঢালীর পুত্র মুয়াজ্জিন মহাতাব উদ্দীন ঢালী বাড়ি ফিরছিলেন। প্রতিপক্ষ মৃত. জালাল উদ্দীন সরদারের পুত্র রুহুল কুদ্দুস (অবঃ সেনা সদস্য) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে তার পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে গলা ধাক্কা দিতে দিতে তাকে মসজিদের ভিতরে ঠেলা মেরে ঢুকিয়ে বলেন, ‘শালা তুই এর মধ্যে বসে থাকবি। দেখি তোর কে ঠেকায়।’ বেলা পরিষ্কার হওয়ার পরও বাড়িতে না ফেরার মুয়াজ্জিনের পরিবারের লোকজন খোজাখুজির এক পর্যায়ে জানতে পেরে মসজিদে পৌছে জানালা দিয়ে দেখতে পায় মুয়াজ্জিন ও সঙ্গীয় মুসল্লী হামিদ খাঁ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বসে আছেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার মন্ডল ও গ্রাম পুলিশ মহানন্দ মন্ডলের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
জানাগেছে, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে সরকারের করোনা ভাইরাসের কারনে বিপদগ্রস্থ মানুষের তালিকা তৈরীতে সহযোগিতা করার কাজে নিয়োজিত মুয়াজ্জিনের পুত্র আছাফুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রুহুল কুদ্দুসের ঘেরের কর্মচারী আব্দুস সালামের সাথে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা ও কয়েক দফা তর্কাতর্কি ও ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উভয় পক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরী ও অভিযোগ দায়ের করেন। এই জেরধরে মুয়াজ্জিনকে প্রতিপক্ষ রুহুল কুদ্দুস গংরা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এবিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রুহুল কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি সহ তার সঙ্গীয় লোকজন উল্লেখিত ঘটনা অস্বীকার করেন