শ্যামনগরে বন্ধ দলিল লেখা, বন্ধ দলিল লেখকদের আয় রোজগার
মরণঘাতী করোনার প্রভাবে সারাদশের ন্যায় থমকে গেছে শ্যামনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস পাড়া। কিছুদিন আগেও যেখানে ছিল লোকের প্রচন্ড ভিড়। রেজিস্ট্রীর জন্য অপেক্ষা, উচ্চ শব্দ ছাড়া যেখানে কথা বলাই ছিল দূরূহ ব্যাপার। সেখানে এখন নিস্তব্ধ হয়েগেছে। দীর্ঘদিন ধরে জমি বেচাকেনা ও রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকায় দলিল লেখকদের আয় রোজগারও বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে উপজেলা ৭৬/৭৭ জন দলিল লেখক ও তাদের সহকারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
দলিল লেখক সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ৭৬/৭৭ জন দলিল লেখক ও তাদের সহকারীরা কাজ করেন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন অফিস বন্ধ থাকায় তাদের প্রতিদিনের আয় রোজগার বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করে দিলেও আজ আমরা একপ্রকার না খেয়ে আছি। এখানে যারা কাজ করেন তাদের দিন ডাল ভাতে ভালই চলছিলো। এখন হাতেগোনা ৬/৭ জন বাদে বাকিরা সংসার চালাতে তারা হিমসিম খাচ্ছেন। কিন্তু দলিল লেখকরা তাদের অসহায়ত্বের কথা কারো কাছে বলতে পারছেন না।
শ্যামনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কয়েকজন দলিল লেখক বলেন, আমাদের রোজগারের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে দলিল লেখা। করোনার কারণে অফিস বন্ধ থাকায় আমরা সহ আমাদের মতো এ উপজেলার সকল দলিল লেখক ও সমপরিমাণ সহকারীদের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলোতে কিভাবে সংসারের ভরন পোষণ করবো সেটা ভেবে পাচ্ছিনা। তাছাড়া হাতে গোনা ৬/৭ জন দলিল লেখক ছাড়া অন্যদের অবস্থাও তেমন একটা ভালো না। সামনে ঈদ এই সময়ে আয় রোজগার বন্ধ, ছেলে-মেয়েদের নতুন কিছুদিতে পারবোনা, কিভাবে আমাদের সংসার চলবে? তারা আরো বলেন, আমাদের অসহায় দলিল লেখক ও সহকারীদের দিকে সরকার যাতে সু-দৃষ্টি দেন সেই দাবি জানাচ্ছি।
শ্যামনগর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের দলিল লেখকরা আরো জানান, আমরা আসলে অন্য কোন কাজ করতে পারিনা। সামাজিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে আমাদের পক্ষে কারো কাছে হাত পাতাও সম্ভব না। তাই অসহায় দলিল লেখকদের দিকে সরকারের পক্ষ থেকে একটু দৃষ্টি দিলে লেখক ও সহকারীরা খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।