পাটকেলঘাটায় খাস জমি জবর দখল পূর্বক পাকা ঘর নির্মাণ :মামলার আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পাটকেলঘাটা নগরঘাটা গ্রামে খাস জমি জবর দখল পূর্বক পাকা ঘর নির্মাণ করে ভুক্তভুগীর দখলীকার খরিদা সূত্রে জমির উপরে জোরপূর্বক রাস্তা করা কালে বাধা প্রদানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ০২। বিষয়টি নিয়ে পাটকেলঘাটা থানায় মামলা, আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রেপ্তারের কোনো পদক্ষেপ লক্ষনীয় নয়। সূত্রমতে জানা যায় যে, পাটকেলঘাটা থানাধীন নগরঘাটা গ্রামে মোঃ সাজ্জাত আলী মোড়ল, মোঃ শাহাত আলী গং নগরঘাটা মৌজার জে.এল নং-১৫ অধীনে খাস জমি জবর দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করিয়াছেন। তাহাতেও সš‘ষ্টি না হইয়া পার্শ্ববর্তী ভুক্তভোগী পরিবার ক্রয়কৃত জমির উপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
জানা যায় যে, গত ইংরেজি ১৬/০৪/২০০১ তারিখে একই গ্রামের মৃত ছহির উদ্দীনের পুত্র মোঃ সামছু রহমান এর কাছ থেকে ২৩৮৬ নং কোবলা দলিল মূলে ৬.২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে উক্ত জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ পূর্বক শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে রইয়াছেন। প্রকৃতবৃন্তান্তে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী (১) শাহাত আলী মোড়লের পুত্র মামুন মোড়ল , (২) করিম মোড়লের পুত্র ফরহাদ মোড়ল, (৩) মৃত আমির মোড়লের পুত্র (ক) বজলু মোড়ল (খ) ফজলু মোড়ল, (৪) মতিয়ার রহমানের পুত্র (ক) শাফিয়ার মোড়ল (খ) মহাসীন মোড়ল, (৫) মৃত ইব্রাহিম মোড়লের পুত্র (ক) বারীক মোড়ল (খ) আমির মোড়ল (গ) শাহাদাত মোড়লগণ ভুক্তভোগীর ভোগদখলিকার জমির পাশ দিয়ে জোরপূর্বক যাতায়াতের পথে মাটি ভরাট করতেছিল। ভুক্তভোগীরা মাটি ভরাট করতে বাধা প্রদান করলে গত ইংরেজি ২১/০৪/২০২০ তারিখে সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় জবর দখলকারীরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি, রাম দা সহ দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া মোয়াজেমের বাড়ির ভেতরে অনুধিকার প্রবেশপূর্বক মামুন মোড়ল মোয়াজ্জেমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করিয়া কোপ মারে। এবং ফরহাদ মোড়ল, বজলু মোড়ল ও ফজলু মোড়ল ঠেকাতে আসা বোনজামাই রবিউলকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। যার ফলে তার হাতের কজ্বি ও শরীরের বিভিন্ন ¯’ানে ফোলা ও বেদনাদায়ক জখমের সৃষ্টি হয় এবং তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। যার ফলে ভুক্তভোগীরা চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে অব¯’ানকরছেন বিষয়টি নিয়ে পাটকেলঘাটা থানায় ১৪৩/১৪৭/৩২৪/৩২৩/৩৪২/২২৫/২২৬/ ৩০৭/৩৭৯ পি-সি ধারায় একটি মামলা দাখিল করেন। যাহার নম্বর পাটকেল থানা মামলা নম্বর ৭, তারিখ ২৭/০৪/২০২০ ইং। কিš‘ সন্ত্রাসী তাÐবকারী এই আসামীরা পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরে থেকে এখনও পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের খুন যখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভুক্তভোগী পরিবার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার জানান আমরা ভিন্ন গ্রাম থেকে জমি ক্রয় করে এখানে বসবাস করছি। আমরা বাইরে থেকে এসেছি মর্মে আমাদেরকে উ”েছদ করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে। তারা খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করে এখন আমার ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা করিবার জন্য অবচেষ্ঠায় লিপ্ত আছে। এবং ইতিমধ্যে কিছুটা মাটিও ভরাট করেছেন। আমি খাস জমি চা”িছ না, আমি আমার ক্রয়কৃত জমির সীমানা নির্ধারণ চা”িছ, আমি যেটুকু ক্রয় করেছি তাহার বাইতে আমার যাওয়ার কোনো ই”ছা নেই, আমার ক্রয়কৃত জমির ভেতরে আমি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। জনস্বার্থে যদি রাস্তার প্রয়োজন হয় তাহলে খাস জমি দিয়েই রাস্তা তৈরি হবে এটাই বাংলাদেশ সরকারের আইণ বলে আমি মনে করি। আমি নায্য বিচারের দাবী আশা করছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য মোঃ আব্দুল করিম বিশ্বাস আমাদেরকে জানান, বিষয়টি আমি জানি এখানে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ ¯’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয়পক্ষকে একত্রিত করে একটি সীমানা নির্ধারণ করেছেন। আশা করি উভয় পক্ষ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা স্বার্থে আপোষ মিমাংসা করার জন্য আমি প্রস্তাব দিয়েছি। দুই পক্ষের মারামারির দিন আমি উপ¯ি’ত ছিলাম না। শুনেছি মারামারি হয়েছে। এখানে কোনো খাস জমি আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে ইউ.পি সদস্য বলেন হ্যাঁ এখানে খাস জমি আছে। জমিটা বর্তমানে কে দখল করে জানতে চাইলে ইউ.পি সদস্য বলেন মামুন মোড়ল, ফরহাদ মোড়ল, বজলু মোড়ল, ফজলু মোড়ল, শাফিয়ার মোড়ল, আব্দুল বারী, আমিন মোড়ল, শাহাত মোড়লগণ পাকা ঘর নির্মাণ করিয়া পৃথকান্তে দখলে রইয়াছেন। সাজ্জাত মোড়ল খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করিয়াছেন। সরকার বাহাদুর থেকে কোনো প্রকার ইজারা গ্রহণ করিয়াছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো ইজারা গ্রহণ করি নাই এমনিভাবে দখল করি।
এ বিষয়ে নগরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্ঠা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আসামী গ্রেপ্তার সম্পর্কে ও.সি পাটকেলঘাটাকে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে আমাদেরকে জানান বিষয়টি মারামারির মামলা এবং তারা একই এলাকায় বসবাস করেন। পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা রেকর্ড হইয়াছে। সাম্প্রকিত দেশের করোনা ভাইরাসের কারনে আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভবপর নয়।
Please follow and like us: