প্রিয় শহর নিয়ে আমার একটি গল্প
১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে ৭টি থানা নিয়ে সাতক্ষীরা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৮৬৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার অধীনে এই মহকুমার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে সাতক্ষীরা খুলনা জেলার অর্ন্তভূক্ত একটি মহকুমা হিসাবে স্থান লাভ করে। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে ১৯৮৪ সালে সাতক্ষীরা মহকুমা জেলায় উন্নীত হয় এবং সাতক্ষীরা জেলা শহরের মর্যাদা পায়। আমার দেশে অসংখ্য শহর ও নগরের মধ্যে আমার একটি প্রিয় শহর আছে। এ শহর নিয়ে আমার অনেক হাসি, কান্না ও সুখের গল্প আছে। বলছি আমার প্রিয় শহর সাতক্ষীরার কথা। অনেকের হয়তো অনেক রকম কথা থাকবে। যে শহরে বাস, সে শহর প্রিয় এবং তা নিয়ে গল্প? আমি বলব হ্যাঁ! আমি যে আজকের মম, দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত, তা শুধু এ শহরে এসেছি বলেই হয়েছে। আমি জানি না শুরুর সময় আমি কোথায় যেতাম বা কী করতাম। এ শহরই আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। তাই আমার দেখা সবচেয়ে প্রিয় শহর সাতক্ষীরা। ঘুরতে কিংবা কর্মজীবনের তাগিদে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে আমার যেতে হয়। অনেক শহরে আমি থেকেছি। কিন্তু সাতক্ষীরাকে এক বিন্দু সময়ের জন্য ভুলে থাকতে পারি না। এ শহরের ধূলিকণা আমার শরীর ও শ্বাসের সঙ্গে মিশে আছে। কখনও যদি কোনো দেশে বা শহরে কিছু সময়ের জন্য যেতে হয়, সে শহরে থাকতে হয় এবং আমার কাছে যদি সেই শহরের মানুষগুলো প্রিয় শহরের গল্প শুনতে চান তবে আমি সাতক্ষীরা শহরের কথাই বলব। আমি জানি এ শহর নিয়ে অনেকের অনেক রকম মত রয়েছে। খবরের কাগজে অনেক সংবাদও পড়েছি। যার মধ্যে বেশিরভাগই নেতিবাচক। কিন্তু এই নেতিবাচক খবর জানার পর, কিংবা সাতক্ষীরা এত নোংরা, কষ্টদায়ক- এসব জেনেও কী কেউ এই শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন? যাননি। আমিও তাদের মধ্যে একজন।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এ শহরই আমাকে স্বাবলম্বী করেছে। এ শহর নিয়েই আমার গল্প, এ শহর নিয়েই আমার বেঁচে থাকা। আর এ শহরের শেষ অবধি থাকতে চাই। তবে এ শহর নিয়ে আমার একটি অনুরোধ আছে সবার কাছে। যারাই যেখানে থাকেন না কেন, নিজেরাই যদি নিজেদের আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি তবে আমরা সুবাতাসময় ও পরিচ্ছন্ন একটি শহর পাব। প্রিয় শহরে প্রিয় মানুষগুলো ভালো থাকবে এ প্রত্যাশায় আমাদের প্রিয় শহর পরিচ্ছন্ন রাখব, সবুজময় করে তুলব।