আশাশুনির দোকানে মূল্য তালিকা থাকলেও বেশী নেয়া হচ্ছে দাম
পবিত্র রমজান মাসে ও করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনের প্রেক্ষিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না ঘটে সেজন্য প্রশাসন ব্যাপক উদ্যোগ নিলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা অনিয়ম করেই যাচ্ছেন। ফলে সরলসোজা ও সাধারণ ক্রেতাসাধারণ ঠকেই চলেছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন শুরুর পর থেকেই উপজেলা প্রশাসন দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেন। প্রত্যেক দোকানে দ্রব্যমূল্য তালিকা প্রদর্শন, বাজার মূল্য সঠিক রাখা ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রচার প্রচারনা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি বাজার তদারকি করা হচ্ছে। এতকিছুর পরও ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ অসাধু তৎপরতা জিইয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রব্যমূল্যের তালিকা নামে মাত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে, যে খানে সামান্য কয়েকটি পণ্যের মূল্য লিপিবদ্ধ থাকে। বাকী বহু পণ্যে মূল্য নিজেদের ইচ্ছামত নিয়ে থাকেন। অনেক ব্যবসায়ী মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেন বটে, কিন্তু লিখে রাখা মূল্যের চেয়ে বেশী দামে বিক্রয় করে থাকেন। এছাড়া মালামলের গুণগত মানের ব্যাপারেও রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। পবিত্র রমজানের সময় তেল, বেসন, ছোলাসহ অনেক দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এসুযোগে নি¤œমানের মালামাল বিক্রয় করে অধিক মুনাফার অপতৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বুধবার বিকালে আশাশুনি সদরের একটি দোকানে মালামাল ক্রয় করতে যান আশাশুনি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়। তিনি মালামাল ক্রয়কালে নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। তিনি দেখলেন, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তালিকায় লেখা এক মূল্য আর বিক্রি করা হচ্ছে আরেক মূল্যে। প্রদর্শিত তালিকায় প্রতি কেজি হলুদ ১৫০ টাকা লেখা থাকলেও নেওয়া হলো ১৯০ টাকা, জিরা ৪০০ টাকা লেখা নিলো ৫৪০ টাকা, গোল মরিচ ৪০০ টাকার স্থলে নিলো ৫০০ টাকা, বেসন ৪২ টাকার জায়গায় নেওয়া হলো ৫২ টাকা। অন্য মালামালের বেলায় একই ছবি বলাই বাহুল্য। তিনি মালামালগুলো ক্রয়ের পর রসিদ চাইলে মুদি ব্যবসায়ী চালান লিখে দিলেন। নিয়মিত জোর প্রচেষ্টার পরও দেখানো হচ্ছে এক, আর নিচ্ছে আরেক কিভাবে সম্ভব? সচেতন মানুষকে এহেন ঠকানোর ব্যবস্থা, তাহলে এলাকার মূর্খ, সরল সোজা সাধারণ মানুষ নাজানি কত না ঠকে চলেছে। আর কি করলে ব্যবসায়ীদের হুঁশ ফিরবে! এর প্রতিকার পেতে চায় এলাকার সাধারণ মানুষ।