বেনাপোল- পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি বাণিজ্যর জন্য তিনটি প্রবেশদ্বার
আমদনি বাণিজ্যর জন্য বেনাপোল – পেট্রপোল এর তিনটি প্রবেশ দ্বার খুলে দিয়েছে। শনিবার বেলা ১.৫০ টার সময় ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল নোম্যান্স্যন্ডে এপন্য লোড আনলোড করে। করোনা ভাইরাসের কারনে ভারতের নিশেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে কোন পন্য বাহি ট্রাক যাবে না। যার কারনে উভয় দেশের নোম্যান্সল্যান্ডে পন্য উঠা নামা করছে।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ নিয়ন এন্টারপ্রাইজের বর্ডারম্যান কামাল হোসেন বলেন, আজ ভারত থেকে ৮ টি ট্রাকে শুধু পাটবীজ আসবে। জরুরী এ পন্য চালানগুলো পেট্রাপোল – বেনাপোল এর তিনিটি গেট খুলে দিয়ে লোড আনলোড করা হচ্ছে। আজ এ ৮ টি গাড়িতে আনুমানিক ১০০ টনের মত পাট বীজ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। পাটবীজের এ চালান গুলো পেট্রাপোল বন্দরে আটকে ছিল বেশ কয়েক দিন। গত ৩০ এপ্রিল পাট বীজের প্রথম ২৫ টনের একটি চালান দেশে এই চেকপোষ্ট দিয়ে প্রবেশ করে।
এসময় অত্যান্ত সতর্কতার সাথে বিজিবি সদস্যরা জীবানু নাশক ওষূধ দিয়ে গাড়ি গুলো স্প্রে করে। এছাড়া ভারত বাংলাদেশ যাত্রী আসা যাওয়ার প্রধান ফটকেও বিজিবি বসিয়েছে একটি জীবানু নাশক ঘর।
তবে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমস এর পক্ষ থেকে নোম্যান্সল্যান্ডে কোন স্বাস্থ্য কর্মীকে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের শ্রমিকরা ভারতের ট্রাক থেকে বাংলাদেশী ট্রাকে পন্য লোড করায় ঝুকি থাকছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। সেদেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব পাটবীজ এসেছে। সাথে রয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকরাও। এদের নিকট থেকে ও জীবানু ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।বেনাপোল কাস্টমস হাউজের এ আরও শামীম আহম্মেদ বলেন, এসব পন্য বেনাপোল বন্দরে নিয়ে পরীক্ষন শেষে আজই ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে যদি কোন আমদানি কারক তাদের পন্য গোডাউনে রাখতে চায় সে ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা।
বেনাপোল বন্দরের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীকে নোম্যান্সল্যান্ডে দেখা যায়নি। স্থানীয়রা বলেন যে ভাবে ভারত থেকে পন্য আনা হচ্ছে তাতে দেশে করোনা ভাইরাসের ঝুকি থাকবে। এখানে নেই কোন রেজিষ্টার ডাক্তার। নেই কোন জীবানু নাশক ওষধ। সব মিলিয়ে ঝুকি আছে বলে একাধিক মন্তব্য ছুড়ছে সাধারন মানুষ।
উল্লেখ্য গত ৩০ এপ্রিল ১ মাস ৮দিন পর ভারত থেকে প্রথম পন্য চালান আসে ভুট্রা, পাটবীজ ও পান ।