এক মাস পর বেনাপোল-পেট্রাপোলে আমদানি বাণিজ্য চালু
বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে চালু হলো আমদানি বাণিজ্য। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় এক মাস আটদিন বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বেনাপোল পেট্রাপোলের লিংক রোডের নোম্যান্সল্যান্ডে প্রথম পচনশীল পণ্য ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করা হয়।
পণ্য চালানের মধ্যে ছিল ভুট্টা ১০ টন, পাট বীজ ও মেসতা বীজ ২৫ টন ও পান ১২ টন। পণ্য চালানগুলোর বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান উৎস এন্টারপ্রাইজ এবং ভারতের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধন এগ্রো। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ড ডিএসইম পেসকো ও সোঁনারগাও নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী উজ্জল রায় বলেন, প্রায় এক মাস আটদিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হলো। সময় মত আমাদের এ পচনশীল মাল যদি গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারে তাহলে লোকশান গুনতে হবে। বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের ব্যবসায়ী নেতা ও কাস্টমস, বন্দরের সঙ্গে বসে বিশেষ ব্যবস্থায় এ পণ্য আনা হচ্ছে। তবে ভারতীয় কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে না। ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাক বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে লোড করে নিয়ে আসছে।
বেনাপোল কাস্টমস এ.আর. ও শামিম হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পচনশীল পণ্য ভুট্টা, পাটেরও মেসতা বীজ এবং পান জাতীয় পণ্য এসেছে। এগুলো বন্দরে নিয়ে আজই পরীক্ষণ শেষে শুল্কায়ন করা হবে। এরপর পণ্য গন্তব্যে নিয়ে যাবে নিজ নিজ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তালুকদার বলেন, বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিছু আমদানি পণ্য নিয়ে আসতে পেরেছি। এরপর আরো পণ্য বৃদ্ধি পাবে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজারের উপর পণ্যবাহী গাড়ি আটকে আছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিয়ে আসবো। যারা এখানে কাজ করছে তাদের মাস্ক ও পিপির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে স্বাস্থ্য কর্মীরাও রয়েছেন।
গত ২২ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের কারণে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রথম কয়েকটি পণ্য চালান এসেছে বাংলাদেশে। তবে ভারতীয় কোনো ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। লোড-আনলোড হয়েছে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে। এ সময় বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে পণ্য চালান লোড-আনলোডের সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গতকাল বুধবার আমদানি বাণিজ্য নিয়ে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে দুই দেশের বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার প্রথম কয়েকটি চালান দেশে প্রবেশ করে।