বেনাপোলে মানছে না লক ডাউন ; উৎসব মুখর পরিবেশ বাজার
যশোর জেলাকে ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষনা করার পরও মানুষ লকডাউন মানছে না। প্রশাসন হিম শিম খাচ্ছে এসব মানুষদের ঘরমুখো করতে। সবথেকে বেশী অসুবিধা হচ্ছে সীমান্ত সংলগ্ন শহর বেনাপোলে। সকাল থেকে বেনাপোল বাজারে এতটাই লোক সমাগম হচ্ছে দেখলে মনে হবে এটা যে কোন উৎসবের শহর।
যদিও এই শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে বেনাপোল পৌরসভা জীবানু নাশক ওষুধ ছিটাচ্ছে গত এক মাসের বেশী। মেয়র ্আশরাফুল আলম লিটনের উদ্যেগে গত ২৪ মার্চ থেকে শহরের প্রতিটি অলিগলিতে চলছে এই জীবানু নাশক ওষুধ। মানুষকে সচেতন করার জন্যও চলছে বেনাপোল পৌরসভা ও ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা।
মানুষ সীমান্ত এলাকা হওয়া সত্বেও কোন ভীত সন্ত্রস্ত না হয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে নিয়মিত বাজার করছে। পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত থেকে প্রতিদিন এ পথে আসছে শত শত পাসপোর্ট যাত্রী। এদের বহন করার জন্য রয়েছে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখান থেকে করোনা নামক জীবানু দেশে প্রবেশ করতে পারে তা এসব মানুষের মাথায় নেই। সরকার যশোরকে মৌখিক ঘোষনা দেওয়া সত্বেও মানছে না এসব বিধি নিষেধ।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশকে সকাল থেকে মোটর সাইকেল ইজিবাইক সহ অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রন করতে দেখা গেলেও মানুষ পুলিশের চোখ এড়িয়ে বাজারে ভরে যাচ্ছে। পোর্ট থানা পুলিশ থানার সামনে বেনাপোল লোকাল বাস ষ্টান্ডে কাচা বাজারের সামনে কর্তব্য পালন করলে ও এদের চোখ এড়িয়ে মানুষ অলি গলির মধ্যে দিয়ে বাজারে ঢুকে পড়ছে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে সাংবাদিক জিএম আশরাফ বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ তৎপর আছে। তবে বাঙ্গালীতো ভদ্র ভাবে কথা বললে শোনে না। এদের দুই একজনকে গনধুলাই না দিলে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রন হবে না।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খান বলেন, ২৪ ঘন্টা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। তারপর মানুষ এগুলো উপেক্ষা করে বাজারে লুকিয়ে লুকিয়ে আসছে। বিষেশ করে সকালের দিকে লোকজনের ভীড় লক্ষ করা যায়। এছাড়া পুলিশ এর জনবল ও কম যে প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসাবো। তারপরও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মানুষকে নিজে থেকে সচেতন হতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের ও এগিয়ে আসতে হবে।
বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান বলেন, আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু মানুষ নিজেরা সচেতন না হলে কোন কিছু সম্ভব না।
বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমরা বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছি। বেনাপোল বাজার সহ এই শহরকে সু-রক্ষা করার জন্য আমি নিজ উদ্যেগে এক মাসের বেশী জীবানু নাশক ওষধ ছিটাচ্ছি। প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে। কারন এটা সীমান্ত লাগোয়া একটি শহর । রাষ্ট্রের গুরুত্ব পুর্ন প্রবেশদ্বার বেনাপোল।