পিপিই পরে ছদ্মবেশে অপরাধী
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরে স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে বাসায় আসতে পারে কয়েকজন যুবক। নিজেদেরকে স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে করোনাভাইরাস সনাক্তের কথা বলে তারা চেষ্টা করবে বাসার ভেতর ঢুকতে। এরপর বাসার লোকজনকে জিম্মি করে লুটে নিতে পারে মূল্যবান জিনিসপত্র। ছদ্মবেশী এমন অপরাধী চক্রের ব্যাপারে বেনাপোলবাসীকে আগাম সতর্ক করছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
স্বাস্থ্যকর্মী বা অন্য কোন পরিচয়ে আসা লোকজন নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান।
ওসি মামুন খান জানায়, কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তরা নিজেদেরকে পুলিশ সদস্যও পরিচয় দিতে পারে। এরকম কোন সন্দেহভাজনদের আগমন ঘটলে সাথে সাথে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশে খবর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, “সতর্কীকরন”সর্বসাধারনের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্হিতিকে পুঁজি করে কতিপয় দূস্কৃতিকারী পি পি ই (PPE) পরিধান করে পুলিশ /চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে ডাকাতি /দস্যুতা/চুরি/অপকর্ম সংগঠন করার চেষ্টা করছে। বেনাপোল পোর্ট থানার কোন এলাকায় যদি কেউ আপনার বাড়ী/বাসায় গিয়ে পুলিশ/ ডাক্তার/স্বাস্হ্যকর্মী/স্বেচ্ ছাসেবী /প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে দিনে/ রাতে চিকিৎসা সেবা প্রদান বা অন্য কোন কারনে দরজা খোলার কথা বলে তাহলে উক্ত ব্যক্তির সঠিক পরিচয় না জেনে দরজা না খোলার জন্য এবং সন্দেহজনক হলে বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার,(০১৭৬৯-৬৯২৮১০) অফিসার ইনচার্জঃ(০১৭১৩-৩৭৪১৬৯), ইন্সপেক্টর তদন্তঃ(০১৭৬৯-৬৯২৮০৯) নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এখন মানুষ ঘরবন্দি। এ অবস্থায় অপরাধীরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করতে পারে। তারা ছদ্মবেশে বাসা-বাড়িতে ঢুকে চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট চালাতে পারে। এজন্য বেনাপোল,শার্শাবাসীকে আগাম সতর্ক করা হচ্ছে।দুর্বৃত্তরা স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয়ে পিপিই পরে বাসা-বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। বাসার লোকজনের করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য তারা হাসপাতাল থেকে এসেছে এমনটাও বলতে পারে। এছাড়া কেউ ত্রাণের বস্তা নিয়েও আসতে পারে। করোনার নমুনা সংগ্রহ বা ত্রাণ দেওয়ার কথা বলেও তারা বাসায় ঢোকার চেষ্টা করবে। আর ঢুকেই তারা বাসার লোকজনকে জিম্মি করে লুটপাট চালাতে পারে, বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশের কাছে এমন শঙ্কার তথ্য এসেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অপরাধীরা তাদের অপরাধের কৌশল পরিবর্তন করছে। অপরাধীদের রুখতে জনগণকে সচেতন হতে হবে। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে সবধরনের অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হবে।
Please follow and like us: