করোনার উপসর্গ থাকলে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে খুলনা ও ঢাকায়
সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতালের ডাক্তারেরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকম সুরক্ষা ছাড়াই নিরলস ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। দিয়ে যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসের সচেতনতামূলক পরামর্শ। এবিষয়ে কলারোয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, আমাদের হাসপাতালে ১৭ জন ডাক্তার রয়েছেন। সরকারের দিক নির্দেশনা মোতাবেক কলারোয়ায় এই সংকটময় মুহুর্তে প্রত্যন্ত অ লের সাধারণ রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। তিনি আরও বলেন, এখন গ্রাম অ লের মানুষ সর্দি, কাশি, জ্বর হলেও করোনা রোগের আক্রান্তের ভয়ে ভুগছে।
এসকল রোগীদেরকে ডাক্তারগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। করোনার উপসর্গ থাকলে তাৎক্ষনিক ভাবে তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা ও ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। একই সাথে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকারও পরামর্শ দিচ্ছেন। কলারোয়াতে বিদেশ ফিরত ৮শত ৫৯জন ব্যক্তির মধ্যে কেউ কোন রোগ নিয়ে হাসপাতালে এলে তাকে প্রথমে তার দেহের নমুনা নেয়া হচ্ছে। আর এই কাজ গুলো করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান হলো-ডা: মাহফুজ ইমরান, ল্যাব টেকনিশিয়ান আল মামুন, টেকনিশিয়ান রাজমুল হোসেনসহ অন্যন্যেরা। আর এই টিম ৪ এপ্রিল থেকে নমুনা নেয়ার কাজ শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন-কলারোয়ার প্রত্যন্ত অ লে ২শ’৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রামীণ জনশক্তির মাঝে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ২শ’৩৪জন সিএইচসিপি। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। একই সাথে বিভিন্ন ধরণের প্রায় ৩০ প্রকার ঔষধ দেওয়া হয়। করোনার এই দুর্যোগ মুহুর্তে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপিরা জীবন বাজী রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলে ডাক্তারেরা রয়েছে ঝুকির মধ্যে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে ডাক্তারদেরকে জীবনের সুরক্ষা আর নিরাপত্তার বিষয়ে সুদৃষ্টি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।