দেশে একদিনে ৯ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩০৬

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৮৪ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া নতুন করে আরো ৩০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে মোট ২১৪৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।

শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান খান। এতে নিজের বাসা থেকে সংযুক্ত হয়ে কথা বলেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যে ৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৬০ বছর ঊর্ধ্ব চারজন। ৫১-৬০ বছরের মধ্যে আছেন একজন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে আছেন দু’জন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং আর একজনের বয়স জানান যায়নি। এদের মধ্যে ছয়জন ঢাকার, দু’জন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন সাভারের। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা শানাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের কোটায় শতকরা ২৭ ভাগ, ৩১-৪০ বছর বয়সী ২২ ভাগ, ৪১-৫০ বছর বয়সী আছেন ১৯ ভাগ। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে পুরুষ শতকরা ৬২ ভাগ, বাকিরা নারী।

তিনি বলেন, পরপর দু’টি পরীক্ষায় সংক্রমণ নেই এমন চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮। এ নিয়ে সর্বমোট ৬৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। ২ হাজার ১৪৪ জন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৪ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন আছেন আইসিইউতে। বাকি সবার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।

বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং দুই হাজার ১৯০টি পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরো ৩০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে দুই হাজার ১৪৪। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরো ৯ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৮৪। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরো ৮ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।

বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, সরকারি-বেসরকারি সূত্রের বরাতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ডোমিটার ডটকম। তাদের হিসাবে বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৫ জন। প্রাণহানির সংখ্যা এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৮৮।

আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩৭ জন। এখনো ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)