সিঙ্গাপুরে একদিনে ৪৭ বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত
সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সর্বশেষ তথ্য দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সময় দুপুর বারোটা পর্যন্ত সংকলিত তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০৬, যার মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
বেশিরভাগ বাংলাদেশিই একসঙ্গে একই আবাসিক ভবনে থাকতেন। এ রকম তিন চারটি আবাসিক ভবন তাদের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। এদের বেশিরভাগই এসেছেন দক্ষিণ এশিয়া থেকে এবং কাজ করছেন মূলত নির্মাণ শিল্পে।
বেশ কিছু ডরমেটরিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে শ্রমিকদের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে শুরু হয়েছে এক মাসের লকডাউন। কর্মকর্তারা স্কুল ও অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছেন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে। কিন্তু বদ্ধ ঘরে গাদাগাদি করে বাস করা অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে আশংকাজনক হারে ভাইরাসে ছড়িয়ে পড়ার খবর আসছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বিশ্বের ২০৯টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৪ জন। নতুন আক্রান্ত ১৯১৯০ জন। মৃতের সংখ্যাও পার হয়ে গেছে ১২ হাজার। মোট মৃত ১২ হাজার ২৪৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ১৩৭৫ জন।
তবে মৃতের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইতালি। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৬জন। নতুন আক্রান্ত কিছুটা কমেছে। ৩ হাজার ৩৯ জন। সব মিলিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ১২৭ জন।
ফ্রান্সে মৃত্যুবরণ করেছে ১০ হাজার ৩২৮জন। আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯জন। এছাড়া ব্রিটেনে মৃত্যুবরণ করেছে ৬ হাজার ১৫৯ জন। ইরানে ৩ হাজার ৮৭২ এবং চীনে মৃত্যুবরণ করেছে ৩ হাজার ৩৩১ জন। ইউরোপের অন্য দুটি উন্নত দেশ বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশ দুটিতেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২ হাজার। নেদারল্যান্ডসে ২ হাজার ১০১ জন। বেলজিয়ামে ২ হাজার ৩৫ জন। জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪১ জন। দেশটিতে আক্রান্ত এক লাখ ৬ হাজার ৫০৪ জন।
বাংলাদেশেও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আজ ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশে করোনা আক্রান্ত বেড়েছে ৪১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।
আক্রান্ত ১৪ লাখ ১১ হাজার ৯৯ জনের মধ্যে সুস্থতা এবং মৃত্যুবরণসহ করোনা কেস ক্লোজ হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮০৩টি। বাকি রয়েছেন এখনও ১০ লাখ ২৯ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছেন ৫ ভাগ, তথা ৪৭ হাজার ৮৩৬জন। আর আক্রান্ত তবে খুব বেশি জটিল অবস্থায় নেই, এমন রয়েছেন ৯ লাখ ৮১ হাজার ৪৬০ জন মানুষ। বিবিসি বাংলা