করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার
বৈশ্বিক মহামারির রূপ নেয়া নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
করোনা নিয়ে তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার -এর তথ্যানুযায়ী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ৫৩ হাজার ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ১৬৮ জন।
তবে এত দুঃসংবাদের মধ্যে আশার খবরও রয়েছে। তা হলো, ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ জন।
কিন্তু ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার হার ক্রমশ বাড়তে থাকায় এটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে শঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এরইমধ্যে বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের চলতি প্রাদুর্ভাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয়ে এসেছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম এই ভাইরাসটি ধরা পড়ে। এরপর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এটি গোটা চীনসহ বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে যায়।
বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে ইউরোপের দেশগুলোতে। ইউরোপের দেশ ইতালি এখন এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৯১৫ জন এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৫৭৪ জন। সুস্থ হয়েছে ১৮ হাজার ২৪৭ জন।
স্পেনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজার ৩ জন। আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন। সুস্থ হয়েছে ২৬ হাজার ৭৪৩ জন।
জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮০ হাজার ৬৪১ জন হলেও মৃতের সংখ্যা এখনও এক হাজারের নিচে (৯৬২ জন) রয়েছে। ফ্রান্সে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩২ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ৯৮৯ জন।
করোনার মূলকেন্দ্র চীনে এ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ৩১৮ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৫৮৯ জন। সুস্থ হয়েছে ৭৬ হাজার ৪০৮ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে দুই লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৩৪ জনের। সুস্থ হয়েছে ১০ হাজার ২৬৫ জন।
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৬ জন।