সামাজিক দূরত্ব আসলে যেমন হওয়া জরুরি
করোনার আতঙ্কে সারা বিশ্বই এখন এক প্রকার ঘরবন্দী। ছোঁয়াচে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবাইকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর থেকে রক্ষার এটাই একমাত্র উপায়। কারণ এর কোনো প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
তাই নিজে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। তবে অনেকেই এখনো এই বিষয়ে অজ্ঞ। সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় রাখতে হবে তার সঠিক নিয়মটি অনেকেই জানেন না। তাইতো বার বার ভুল করে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন।
বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্সপার্টদের উদ্ধৃতি দিয়ে একই কথা অসংখ্যবার বলা হয়ে গেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় ঘরে থাকা, মানুষের কাছাকাছি না আসা।
আমেরিকার সেন্টারস্ ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছেন, প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের ১.৮ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই দূরত্ব যত বেশি হবে, নিরাপত্তা তত বেশি। অন্যদের সঙ্গে দেখা করতে হলে কিংবা কেনাকাটায় গেলে যে কোনো মানুষের থেকে ন্যুনতম ১.৮ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
কোথাও একজোট হয়ে আড্ডা দেয়া থেকে একেবারেই বিরত থাকুন। আড্ডা দেয়া এড়িয়ে চলা সবার আগে জরুরি। বাইরে যাওয়ার কাজটি এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। একেবারে না হলেই নয়, এমন অবস্থায় যেতে পারেন। তবে সেই একই নিয়মে অন্যদের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন।
যে কোনো ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বন্ধ রাখুন। যদি কোনো বিশেষ সামাজিক সংগঠন বা সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িয়ে থাকেন, তবে তা এড়িয়ে চলুন।
নিশ্চয়ই প্রশ্ন থাকতে পারে, কত দিন পর্যন্ত এমনভাবে চলতে হবে? উত্তরটা সবার জানা- যত দিন পর্যন্ত এই অবস্থা চলে। এই সার্স-কভ-২ এর অজানা বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে না জানা পর্যন্ত এভাবেই জীবনযাপন করুন।
সূত্র: ভিয়েতনাম প্লাস