আত্মহত্যা করলেন জার্মান মন্ত্রী

জার্মানির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী টমাস শেফার আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার তিনি আত্মহত্যা করলেও প্রথমে জানা যায়নি তার আত্মহত্যার কারণ। তবে এবার সেই কারণ উদঘাটিত হয়েছে।

প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী ভলকার বুফেরকে উদ্ধৃত করে জার্মান মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক চাপ কীভাবে সামাল দেয়া যাবে তা নিয়ে শেফার খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং মানসিকভাবেও ভেঙ্গে পড়েছিলেন।

এক বিবৃতিতে বুফের বলেন, ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে প্রবল চাহিদা তৈরি হয়েছে, সেটা তিনি পূরণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শেফার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে তার মতো একজনকে খুব দরকার ছিল আমাদের। আমরা হতবাক, আমরা অবিশ্বাসের মধ্যে রয়েছি এবং সর্বোপরি আমরা চরম দু:খিত।’

ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মাইনয শহরের মাঝামাঝি হোকহাইম নামে একটি শহরে রেললাইনের ওপর থেকে পুলিশ শনিবার তার মৃতদেহ খুঁজে পায়।

পুলিশের ধারণা শেফার আত্মহত্যা করেছেন।

ইউরোপের দেশ জার্মানিতে করোনাভাইরাস এরই মধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় প্রায় ৬৪ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৬০ জনের।

জার্মান দৈনিক ফ্রাঙ্কফুর্টার আলেমাইনে সাইটুং জানিয়েছে যে, মৃত্যুর আগে শেফার তার আত্মহত্যার কারণ লিখে গিয়েছেন।

৫৪ বছর বয়সী টমাস শাফের ১০ বছর ধরে হেসের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তাকে এই প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখা হতো।

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্যাকেজ নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি মাঝে মধ্যেই জনগণের উদ্দেশ্যে মিডিয়াতে কথা বলতেন।

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে হেসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রদেশে। জার্মানির অর্থনৈতিক রাজধানী হিসাবে কথিত ফ্রাঙ্কফুর্ট এই প্রদেশেরই একটি শহর।

মুখ্যমন্ত্রী ভলকার বুফের বলেছেন শাফের সম্প্রতি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের প্যাকেজ নিয়ে ‘দিন-রাত’ কাজ করছিলেন।

শেফার চ্যান্সেলর মের্কেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট (সিডিইউ) পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক ছিলেন। তিনি স্ত্রী এবং দুই সন্তান রেখে গেছেন।

সূত্র: বিবিসি

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)