সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরতের বাড়িতে ঝুলাচ্ছে লাল ফ্লাগ
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এস এম মোস্তফা কামালের নির্দেশে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্রহ্মরাজপুর বাজারে ২টি চায়ের দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলাকালে ঐ ২ দোকান হতে ২টি টেলিভিশন জব্দ করে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখেছে ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের জনাব বেলায়েত হোসেন গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে এসে উন্মুক্ত ঘোরাঘুরি করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ তার বাসায় গিয়ে তাকে হোম কোয়ারেণ্টাইন মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঐ বাড়ীতে লাল ফ্লাগ টাংগিয়ে দেয়াসহ ঐ ব্যক্তির হাতে অমোচনীয় কালীর সীল দেয়া হয়েছে। অভিযানের সময় ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা পুলিশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আকরামুল হক, ভোমরা স্থলবন্দরে অভিযান চালায়। আজকে ৭৫ ট্রাক পেয়াজ ভারত থেকে আসবে। আরো কাচা ফলমূল ভারত থেকে প্রবেশ করবে। পাথর বহনকারী ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরুল আমিন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করে এবং বাজার মূল্য যাচাই করে। অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায় যাচাইকৃত দোকান গুলোতে বাজার মূল্য স্বাভাবিক পাওয়া যায়। পণ্য তালিকা না টাঙানোর অপরাধে চারটি দোকানে মোট ৬৫০০ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা সাতক্ষীরা বড়বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যাচাই করতে অভিযান পরিচালনা করে।
তালা উপজেলার খালিলনগর ইউনিয়ন, জালালপুর ইউনিয়ন বিদেশ ফেরত আগত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে টানিয়ে দেওয়া হয়। বাসস্ট্যান্ডে স্প্রে করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের হ্যান্ডগ্লভস এবং মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলায় ১৯ টি টিম মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করছে।সচেতনতা, লিফলেট বিতরণ, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নে হোম কোরান্টাইনদের বাসাই লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে। বাজারে পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক আছে।
শ্যামনগর উপজেলায় Cyclone Preparedness Program (CPP) সদস্যদের সাথে মিটিং করা হয় এবং মিটিং শেষে প্রায় ২০০
প্রবাসীদের বাড়িতে লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি বাজারে ৫ সদস্যের একটি করে টিম কাজ করছে। বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক আছে।প্রতিটি মুদি দোকানে মূল্য তালিকা শোভা পাচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সিল মারা এবং লাল নিশানা লাগানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বাজার মনিটরিং করে দেখা যায় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আছে।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।